ভোট প্রচারের প্রথম দিন থেকেই জনসংযোগে ঝড় তুলছেন তৃণমূলের জেলা পরিষদের প্রার্থী শতরূপা পোদ্দার। তিনি এদিন ভোট প্রচারে বের হয়ে পঞ্চায়েত স্তরের বিজেপি প্রার্থীর মুখোমুখি হন। সৌজন্যের রাজনীতির পাশাপাশি তৃণমূলের উন্নয়নে দিকটি তুলে ধরেন। বিজেপি প্রার্থী তৃণমূলের উন্নয়নের কথা স্বীকার করে নিলেও স্থানীয় বিদায়ী প্রধান চন্দনা ঘোষের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন। ঘটনাটি ঘটেছে, আরামবাগের ডিহিবাগনান এলাকায়। এদিন হুগলি জেলা পরিষদের ৪২ নম্বর আসন থেকে তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছেন শতরূপা পোদ্দার। তিনি দিদি আরামবাগ লোকসভার সাংসদ অপরূপা পোদ্দারের সঙ্গে গৌরহাটি এক নম্বর অঞ্চলে ভোট প্রচার করেন। তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের পাশাপাশি পথ চলতি মানুষ ও স্থানীয় দোকানদারদের কাছ থেকে ভালো সারা পাচ্ছিলেন। অনুগামীদের সঙ্গে নিয়ে ডিহিবাগনান এলাকায় চায়ের দোকানে ভোট নিয়ে বৈঠকে আড্ডা দেওয়ার পাশাপাশি পথচলতি মানুষকে তৃণমূলকে আশীর্বাদ করার আহ´ান জানান। এই বিষয়ে তৃণমূলের প্রার্থী শতরুপা পোদ্দার বলেন,নির্বাচনে ১০০ শতাংশ ভোট পাব। মানুষ ৮ জুলাইের অপেক্ষায় আছে। আমি আমার জেলা পরিষদ থেকে জেতার পর মানুষের যা কাজ করার করব। জেলা পরিষদের ৪২ নম্বর আসন থেকে দাঁড়িয়েছে। ভোটাররা বলছে উন্নয়ন খুব ভালোই হয়েছে। ত্রুটি যেগুলো রয়ে গেছে সেগুলো আমি ঠিক করে দেব। অপরদিকে আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূলের প্রধান ইস্যু উন্নয়ন বলে জানান আরামবাগের সাংসদ অপরূপা পোদ্দার। তিনি বলেন, আমাদের মুখ্যমন্ত্রী বদলা নয় বদল চাই যে স্লোগান পরিবর্তন আনার চেষ্টা করেছে আমরা সে পরিবর্তন করতে পেরেছি। আমরা অনেক কাজ করেছি অনেক কাজ বাকি আছে সেগুলো করব। ভুল বুঝিয়েছিল মানুষকে। ভুল বুঝিয়ে মিথ্যা কথা বলে আচ্ছা দিনের নামে যেমন ভাওতা দিয়েছিল। মানুষ বুঝতে পেরেছে যে আমরা তো কোনও উপকার পাইনি। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমস্ত মানুষকে উন্নয়ন পৌঁছে দিয়েছে। ভোট প্রচার চলাকালীন রাস্তার মধ্যে ডিহিবাগনানের তিন নম্বর সংসদের ২২৯ নম্বর বুথের বিজেপি প্রার্থী পলাশ ঘোষের সঙ্গে দেখা হয়ে যায় তৃণমূলের প্রার্থী শতরূপা ও সাংসদ অপরূপা পোদ্দারকে। তাকেও উন্নয়নের বার্তা দেন তিনি। এরপর বিজেপি প্রার্থী পলাশ ঘোষকে তৃণমূলের ভোট প্রচার নিয়ে জানতে চাইলে তিনি সৌজন্যের রাজনীতি বললেও স্থানীয় প্রধানের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। সবমিলিয়ে এদিন তৃণমুলের জেলা পরিষদের প্রার্থী শতরূপা পোদ্দার ভোট প্রচারে এলাকার মানুষের অনেকটাই মন জয় করলেন বলা যায়।