৪০০ রান করেও সেমিফাইনালের রাস্তা কঠিন হল কিউয়িদের। বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে ডিএলএসে ২১ রানের ব্যবধানে জয় পেল বাবর আজমের পাকিস্তান। সেই সঙ্গেই ৮ পয়েন্ট নিয়ে পঞ্চম স্থান দখল করল পাকিস্তান। রানের পাহাড় গড়েও হতাশ হতে হল নিউজিল্যান্ডকে।
টস জিতে রান তাড়া করার সিদ্ধান্ত নেন পাক অধিনায়ক বাবর আজম। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ওপেনিং জুটিতেই ৬৮ রান তুলে নেয় নিউজিল্যান্ড। ডেভন কনওয়েকে ফেরান হাসান আলি। ব্যাট হাতে নেমে ১০৮ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন কিউয়ি ওপেনার রাচিন রবীন্দ্র। সেঞ্চুরির কাছাকাছি পৌঁছন কেন উইলিয়ামসনও। তবে সেঞ্চুরি থেকে ৫ রানের আক্ষেপ নিয়ে ফিরতে হয় তাঁকে। এ ইনিংসের মাধ্যমে বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডের হয়ে সর্বোচ্চ রানের (১৮৪০)রেকর্ড গড়েন তিনি।তবে রাচিন ও উইলিয়ামসন জুটিতে ভর দিয়েই রানের পাহাড় গড়ে নিউজিল্যান্ড। পাকিস্তানকে ৪০২ রানের লক্ষ্য দিয়ে শেষ হয় নিউজিল্যান্ডের ইনিংস।
৪০২ রান তাড়া করতে নেমে প্রথমেই ধাক্কা খায় বাবর আজমের পাকিস্তান। দ্বিতীয় ওভারেই বিদায় নেন আব্দুল্লাহ শফিক। তবে শফিকের অভাব পূরণ করে দেন ফখর জামান। মাত্র ৮১ বলে ১২৬ রান করেন এই তারকা। ব্যাট হাতে নেমে হাফ সেঞ্চুরি করেন পাক অধিনায়ক বাবর আজম। তবে পাকিস্তানের ইনিংসের ২২তম ওভারে প্রথম দফায় বৃষ্টি নামে। ২১.৩ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে পাকিস্তানের পুঁজি তখন ১৬০ রান। ঘণ্টা খানেকের বৃষ্টিতে ৯ ওভার কমে আসে ম্যাচের দৈর্ঘ। পাকিস্তানের নতুন লক্ষ্য দাঁড়ায় ৪১ ওভারে ৩৪২ রান। নতুন লক্ষ্য নিয়ে ফের মাঠে নেমে বাবরদের সঙ্গী হল ফের বৃষ্টি। এরপর শেষ পর্যন্ত ২৫ ওভারে তিন উইকেট হারিয়ে বাবরদের ঝুলিতে ছিল ২০০ রান। এরপর বৃষ্টি না থামায়, ডিএলএস মেথডের দ্বারা ২১ রানের ব্যবধানে কিউয়িদের হারিয়ে ম্যাচ জিতে নেয় পাকিস্তান। বড় রান করেও সেমিফাইনালের রাস্তা কার্যত কঠিন হয়ে গেল নিউজিল্যান্ডের।