কিছুদিন আগেও আইসিসি বিশ্ব ক্রমতালিকায় ওয়ান ডে-তে এক নম্বর টিম ছিল পাকিস্তান। যদিও বিশ্বকাপ অভিযানে ঠিক শক্তিশালী দল দেখাল না পাকিস্তানকে। বিশেষ করে তাদের ব্যাটিংয়ের কথা বলতে হয়। ম্যাচের ক’দিন আগে থেকে পাকিস্তান অধিনায়ক বারবার বলেছেন, এখানকার পরিবেশ তাঁদের দেশের মতোই। এখানকার বাউন্ডারি ছোট, পিচ ব্যাটিং সহায়ক, হাইস্কোরিং ম্যাচ হবে, এমন কথাও বলেছেন বাবর আজম। কিন্তু প্রথম ম্যাচে তাদের ব্যাটিং সে কথা বলে না। মিডল অর্ডারে মহম্মদ রিজওয়ান এবং সাউদ শাকিল হাল না ধরলে, হয়তো হার দিয়েই টুর্নামেন্ট শুরু হত। তবে ব্যাটারদের ব্যর্থতা ঢেকে দিলেন বোলাররা। নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে ৮১ রানের জয়ে বিশ্বকাপ অভিযান শুরু পাকিস্তানের। গত ইংল্যান্ড বিশ্বকাপ হতাশায় শুরু হয়েছিল পাকিস্তানের। প্রথম ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে হেরেছিল তারা। নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে তেমন আশঙ্কা না থাকলেও অঘটন তো ঘঠতেই পারে! পাকিস্তান ব্যাটিংয়ের শুরুটা দেখে তেমনই আতঙ্কই ঘিরে ধরে। প্রথম পাওয়ার প্লে-তেই ৩ উইকেট হারায় তারা। ব্যর্থতা জারি বাঁ হাতি ওপেনার ফখর জামানের। এই ম্যাচেও তাঁর অবদান মাত্র ১২ রান। আর এক ওপেনার ইমাম উল হক করেন ১৫। সবচেয়ে বেশি হতাশা অধিনায়ক বাবর আজমকে ঘিরে। ভারতের মাটিতে প্রথম ইনিংসে ১৮ বলে মাত্র ৫ রান বাবরের। অভিজ্ঞ মহম্মদ রিজওয়ান এবং সাউদ শাকিল জুটি হাল ধরে পাকিস্তানের। দু-জনেই করেন ৬৮ রান। তবে নজরকাড়া ইনিংস তরুণ ব্যাটার সাউদের। বিশ্বকাপে অভিষেক ম্যাচে ৫২ বলে ৬৮ রান করেন তিনি। পাকিস্তান অবশ্য ৫০ ওভার ব্যাট করতে পারেনি। এক ওভার বাকি থাকতে ২৮৬ রানেই অলআউট। রান তাড়ায় শুরুতেই উইকেট হারায় নেদারল্যান্ডস। তবে বিক্রমজিৎ সিংয়ের হাফসেঞ্চুরি ভরসা দিচ্ছিল। বল হাতে চার উইকেটের পর ব্যাটিংয়েও ডাচদের প্রধান ভরসা ওঠেন বাস ডি লিড। ৬৭ রান করে ডি লিড আউট হতেই পাকিস্তানের সঙ্গে জয়ের দূরত্ব কমে। ৪১ ওভারে ২০৫ রানেই অলআউট নেদারল্যান্ডস। হ্যারিস রউফ ৩ উইকেট নেন।