স্বপ্ন জিইয়ে রইল। টুর্নামেন্টের যা ফর্ম্যাট সেই অনুযায়ী দু-বার ভারত-পাক ম্যাচ কার্যত নিশ্চিত ছিল। তৃতীয় সাক্ষাৎ নির্ভর করবে ফাইনালে ওঠা নিয়ে। সুপার ফোরের প্রথম ম্যাচে ভারতের কাছে হেরেছিল পাকিস্তান। ফলে ফাইনালের দৌড়ে থাকতে দ্বিতীয় ম্যাচে জিততেই হত। শ্রীলঙ্কাকে ৫ উইকেটে হারিয়ে সেই সম্ভাবনা বাঁচিয়ে রাখল পাকিস্তান। তবে শ্রীলঙ্কা একঝাঁক ভুল না করলে, এই ম্যাচও হাতছাড়া হতে বসেছিল পাকিস্তানের।
গ্রুপ পর্বে জয়ের হ্য়াটট্রিক করে আসা টিম শ্রীলঙ্কা। সুপার ফোরে প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশের কাছে হেরেছিল। এ বার পাকিস্তানের কাছে। ফাইনালের দৌড় থেকে বিদায় বলা যায়। ভগ্নাংশে অবশ্য সুযোগ রয়েছে। যদিও সেই আশা আপাতত না করাই ভালো। এর জন্য় জটিল অঙ্ক রয়েছে। আবু ধাবিতে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে রান তাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল পাকিস্তান। স্নায়ুর চাপ সামলে জয়।
শ্রীলঙ্কা অন্তত ১৬০-১৭০ অবধি পৌঁছতে পারত। প্রাক্তন ক্যাপ্টেন দাসুন শানাকা গোল্ডেন ডাক। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সবচেয়ে বেশি বার শূন্য়তে আউটের নজিরও গড়লেন দাসুন। শেষ অবধি ৮ উইকেটে মাত্র ১৩৩ করে শ্রীলঙ্কা।
রান তাড়ায় ওপেনিংয়েই ৪৫ রান যোগ করে পাকিস্তান। মহেশ থিকসানা আক্রমণে আসতেই সাফল্য়। সাহিবজাদা ফারহানকে ফেরান। এক বলের ডেলিভারিতে আউট আর এক ওপেনার ফকর জমান। এর জন্য কৃতিত্ব প্রাপ্য ওয়ানিন্দু হাসারঙ্গার। অনবদ্য একটা ক্যাচ নেন। বোলিংয়ে এসেই সায়াম আয়ুবের উইকেট। দুর্দান্ত একটা স্পেল করছিলেন থিকসানা ও হাসারঙ্গা। এখানেই ভুল করেন শ্রীলঙ্কা ক্য়াপ্টেন।
থিকসানা ও হাসারঙ্গাকে দিয়ে ২ ওভার করিয়ে অন্য বোলারদের আনেন। ৪৫-০ থেকে কিছুক্ষণের মধ্যে ৫৭-৪ হয়েছিল পাকিস্তান। কিন্তু শ্রীলঙ্কা সেই চাপ বজায় রাখতে ব্য়র্থ। বোর্ডে কম রান থাকায় উইকেট নেওয়া ছাড়া বিকল্প ছিল না শ্রীলঙ্কার কাছে। ক্যাপ্টেনের কিছু ভুল সিদ্ধান্তও প্রশ্ন তোলার মতোই। পাঁচ উইকেটে ম্যাচ জিতে নেয় পাকিস্তান।

