ঘরের মাঠে হেরে খাদের কিনারায় পাকিস্তান

ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালের পুনরাবৃত্তি। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রথম ম্যাচেই হার পাকিস্তানের। দীর্ঘ প্রায় ৩০ বছর পর কোনও আইসিসি ইভেন্ট আয়োজনের দায়িত্ব পেয়েছে। পাকিস্তান বোর্ড মরিয়া ছিল নিজেদের দেশেই টুর্নামেন্ট আয়োজনে। শেষ অবধি হাইব্রিড মডেল হয়। পাকিস্তানের মাটিতেই বেশির ভাগ ম্যাচ। শুধুমাত্র ভারতের খেলা, একটি সেমিফাইনাল এবং ভারত ফাইনালে উঠলে সেই ম্যাচ দুবাইতে। টুর্নামেন্টের শুরুতেই ধাক্কা আয়োজকদের। নিউজিল্যান্ডের কাছে ৬০ রানের বিশাল ব্যবধানে হেরে খাদের কিনারায় পাকিস্তান।

ঘরের মাঠে ম্যাচ। করাচির পরিবেশ পরিস্থিতি তাদের চেয়ে আর কে ভালো বুঝবে! টস জিতে রান তাড়ার সিদ্ধান্ত নেন পাকিস্তান অধিনায়ক মহম্মদ রিজওয়ান। বোলিংয়ে শুরুটা ভালো হলেও নিউজিল্য়ান্ডের ওপেনার উইল ইয়ং এবং মিডল অর্ডারে অভিজ্ঞ ব্যাটার টম ল্য়াথামের জোড়া সেঞ্চুরি। শেষ অবধি পাকিস্তানকে ৩২১ রানের বড় টার্গেট দেয় নিউজিল্য়ান্ড। পাকিস্তানের ফিল্ডিংও খুব খারাপ হয়েছে। রান তাড়ায় টেস্ট ইনিংস সুপারস্টার বাবর আজমের।

শুরুতেই তরুণ পেসার উইল ও’রুরকির জোড়া ধাক্কা পাকিস্তানকে। ওপেনার সাউদ শাকিল ৬ এবং তিনে নামা ক্যাপ্টেন রিজওয়ান ৩ রানে ফেরেন। বোর্ডে ৩০০ প্লাস টার্গেট। সেই অনুযায়ী গিয়ারই শিফ্ট হল না। রিজওয়ানের উইকেটের ক্ষেত্রে কৃতিত্ব প্রাপ্য গ্লেন ফিলিপসের। দুর্দান্ত ক্য়াচ নেন। পাকিস্তান ক্রিকেটের তারকা ব্য়াটার বাবর আজম ক্রিজে থাকায় তবু স্বপ্ন দেখছিলেন সমর্থকরা। ৯০ বলে ৬৪ রানে ফেরেন বাবর।

মিডল অর্ডারেও সেই ধার দেখা যায়নি। শেষ দিকে হারের ব্য়বধান কমানোর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেন খুশদিল শাহ। ৪৯ বলে ৬৯ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন। কিন্তু ভিত মজবুত না হওয়ায় বিশাল হার। টুর্নামেন্টের যা ফরম্যাট, ভারতের বিরুদ্ধে রবিবার মরণ বাঁচন ম্যাচ আয়োজক পাকিস্তানের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

five × 1 =