একঝাঁক সুযোগ, একঝাঁক কার্ড। জোড়া রেড কার্ড। যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে রুদ্ধশ্বাস ইস্টবেঙ্গল বনাম ডুরান্ড চ্যাম্পিয়ন নর্থ ইস্ট ইউনাইটেড। ইন্ডিয়ান সুপার লিগে এ মরসুমে হতাশা ছাড়া কিছুই আসেনি ইস্টবেঙ্গল শিবিরে। লাগাতার হারের পর অবশেষে গত ম্যাচে মিনি ডার্বিতে এক পয়েন্ট। সেটিই ছিল মরসুমের প্রথম পয়েন্ট। আইএসএলে পারফরম্যান্স হতাশার হলেও এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করে কোয়ার্টার ফাইনালেও উঠেছে ইস্টবেঙ্গল। নতুন কোচ অস্কার ব্রুজোর কোচিংয়ে পরিস্থিতি যে বদলাতে শুরু করেছে, তা এএফসির টুর্নামেন্টেই বোঝা যাচ্ছিল। এরপর গত ম্যাচে ৩০মিনিটের মধ্যে ৯ জনে হয়ে যাওয়ার পর মহমেডানের বিরুদ্ধে ড্র করা আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছিল ইস্টবেঙ্গলের। তবে জয়ের জন্য অপেক্ষা ছিলই।
টানা ছয় ম্যাচে হার, সপ্তমে ড্রয়ের পর অষ্টম ম্যাচে মরসুমের প্রথম জয়। ঘরের মাঠের সমর্থকদের সামনে এর চেয়ে তৃপ্তির আর কী হতে পারে! পয়েন্ট টেবলে এখনও ইস্টবেঙ্গল সকলের শেষেই। তবে আত্মবিশ্বাসের দিক থেকে ইস্টবেঙ্গল অনেকটা এগিয়ে গেল বলাই যায়। আর সেই স্বপ্নপূরণের শুরু ম্যাচের ২২ মিনিটে। লিড নেয় ইস্টবেঙ্গল। প্রতিপক্ষ ডিফেন্সের বোঝাপড়ার অভাব। বক্সের বাঁ দিকে বল পান মাদিহ তালাল। দুর্দান্ত চিপ করেন। হেডে গোল ডায়মান্টাকোস দিমিত্রিয়সের। প্রথমার্ধে গোল পাওয়ায় আত্মবিশ্বাস বাড়ে। ইস্টবঙ্গল মিড ফিল্ডও ভরসা দিচ্ছিল।
ম্যাচের উত্তেজনা কতটা ছিল, একঝাঁক কার্ডেই তা প্রমাণ। নর্থ ইস্ট ইউনাইটেডের বেমামার দ্বিতীয় হলুদ তথা রেড কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন। তাতে অবশ্য গোল ব্য়বধান বাড়াতে পারেনি ইস্টবেঙ্গল। তবে লাল-হলুদ শিবিরে আরও অস্বস্তি বাড়ে। গত ম্যাচে ইস্টবেঙ্গলের দুই প্লেয়ার লাল-কার্ড দেখেছিলেন। এই ম্যাচের শেষ মুহূর্তে লালচুননুঙ্গা দ্বিতীয় তথা রেড কার্ড দেখেন। ফলে শেষ দিকে দু-দলই সমান জায়গায় ছিল। অবশেষে ১-০ ব্যবধানে আইএসএলে মরসুমের প্রথম জয় ইস্টবেঙ্গলের।