সাইবার জালিয়াতি রুখতে সাধারণ মানুষকে যতই সতর্ক করছে পুলিশ, ততই জালিয়াতির নিত্য নতুন পন্থা বের করছে প্রতারকরা।
ওটিপি শেয়ার নয়, কোনও লিংকে ক্লিক করা নয়, স্রেফ ফিল্টারের যন্ত্রাংশ পাল্টাতে গিয়ে সাইবার জালিয়াতের কবলে দক্ষিণ শহরতলির ঠাকুরপুকুরের বাসিন্দা এক দম্পতি। অনলাইনে পেমেন্ট করেছিলেন দম্পতি। ১০ টাকা। তার কিছুক্ষণের মধ্যেই খোয়া যায় লক্ষাধিক টাকা। ভুল হয়েছে বলে পাল্টা ফোন আসে। অন্য অ্যাকাউন্ট নম্বর চাওয়া হয় টাকা ফেরাতে। সেই নম্বর জানানোর পর সেখান থেকেও হাপিশ হয়ে যায় লক্ষাধিক টাকা। অভিযোগ, দম্পতির দু’টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে পৌনে ৬ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে সাইবার জালিয়াতরা। কীভাবে এই কাণ্ড ঘটাল তারা বুঝতে হিমশিম খাচ্ছেন সকলেই।
পুলিশ জানিয়েছে, সম্প্রতি ঠাকুরপুকুরের ক্ষুদিরাম সরণির বাসিন্দা ওই পরিবারের লোকেরা একটি বিশেষ ব্র্যান্ডের ফিল্টারের যন্ত্রাংশ পাল্টানোর জন্য সার্চ ইঞ্জিনে সন্ধান করেন। একটি ওয়েবসাইট দেখে সেখান থেকে একটি মোবাইল নম্বর খুঁজে পান। সেখানে ফোন করার পর অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিরা নিজেদের ওই বিশেষ ব্র্যান্ড তথা সংস্থার কর্মী বলেই পরিচয় দেয়। ওই যন্ত্রাংশ পাঠানোর নামে তাঁকে অনলাইনে টাকা দিতে বলা হয়।প্রাথমিক পর্যায়ে তাঁকে বলা হয়, ই ওয়ালেটে দশ টাকা পাঠাতে। তিনি দশ টাকা পাঠানো মাত্রই সেই বিশেষ অ্যাকাউন্ট থেকে সাইবার জালিয়াতরা লক্ষাধিক টাকা তুলে নেয়। সঙ্গে সঙ্গে অভিযোগকারী ওই নম্বরে ফোন করে বিষয়টি জানালে বলা হয়, ভুল করে ওই অ্যাকাউন্ট থেকে তারা টাকা তুলে নিয়েছে। তাঁদের অন্য একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকউন্ট নম্বর দিতে বলে সাইবার জালিয়াত। ওই অ্যাকাউন্টে সেই লক্ষাধিক টাকা ফেরত দেওয়া হবে বলেও জানানো হয়।
টাকা ফেরত পাওয়ার জন্য অভিযোগকারী তাঁর স্ত্রীর নম্বর দেন। তাঁর স্ত্রীর অ্যাকাউন্ট থেকে কয়েক দফায় সাড়ে চার লাখ টাকা তুলে নেয় জালিয়াতরা। তারা দম্পতির দু’টি অ্যাকাউন্ট থেকে ৫ লাখ ৮৮ হাজার ৮৩৯ টাকা তুলে নেয়। এর পর থেকে মোবাইল নম্বরটি বন্ধ করে দেয় জালিয়াতরা। এই ব্যাপারে ঠাকুরপুকুর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। সাইবার জালিয়াতির তদন্ত হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।