কথায় আছে, ‘প্যাহেলে দর্শনধারী, পিছে গুণবিচারী’। খাবারের ক্ষেত্রেও ঠিক তেমন। ঠাঠা রোদ থেকে যখন কেউ বাড়িতে এসে তাকে আগে ঠান্ডা জল এগিয়ে দিতে হয়। গরমের দিনে শরবৎ দেওয়ার চল ছিল। সেই শরবতের জায়গাই এখন নিয়েছে রকমারি মকটেল। নানা ধরনের সিরাপ, সোডা, ফলের রসের মিশ্রণে রঙিন পানীয় যা দেখতে যেমন সুন্দর, খেতেও তেমন অসাধারণ। গরমে যাকে বলে রিফ্রেশিং ড্রিংক।
রইল তেমনই কিছু সহজ রেসিপি।
ডাবের জলের মকটেল- সুন্দর স্বচ্ছ কাচের গ্লাস বা মকটেল গ্লাস নিন। তাতে দিয়ে দিন বরফের টুকরো। এবার তাতে মেশান সামান্য রোজ সিরাপ। দিয়ে দিন তাজা পাতিলেবুর সামান্য একটু রস। তারপর মেশান চিনির রস। ওপর থেকে ঢালুন সামান্য কিছুটা আমের ঘন রস। একেবারে শেষে ওপর থেকে দিয়ে দিন ডাবের জল। ছড়িয়ে দিন পুদিনা পাতা। অসাধারণ রং হবে মকটেলের। নীচেটা লালচে তারপর কমলা রং হালকা সাদা হয়ে ওপর পর্যন্তù চলে যাবে। খেতেও হবে অসাধারণ।
শসা-কিউয়ির মকটেল- কিউয়ির শাঁস খোসা ছাড়িয়ে বের করে নিন। পাতলা গোল করে দুটো স্লাইস কেটে নিন। বাকি কিউইয়ি কুঁচিয়ে নিন। একটা শসা নিয়ে খোসা সহ লম্বা লম্বিভাবে পাতলা স্লাইস কেটে নিন দুটো। কমলালেবুও গোল গোল করে দুটো পাতলা স্লাইস কেটে নিন। এগুলো রাখবে মকটেল গ্লাস ডেকরেশনের জন্য। এবার মিক্সিতে দিয়ে দিন কিউইয়ি ও শসার কুঁচি। সামান্য লেবুর রস। সামান্য বিট নুন। পুদিনা পাতা। বরফ মিশিয়ে সবকিছু ব্লেন্ড করে নিন। এবার স্বচ্ছ কাচের মকটেল গ্লাসে দিন বরফের টুকরো। পাতলা করে কাটা ফলের স্লাইসগুলো ভেতর দিক থেকে কাচের মকটেল গ্লাসের গায়ে সেঁটে দিন। এবার মিশ্রনটা ঢেলে পরিবশেন করুন।