ডুরান্ড কাপ কোয়ার্টার ফাইনালে মোহনবাগানকে হারিয়ে ডার্বি জিতে সেমিফাইনালে ইস্টবেঙ্গল। তবে ডার্বি জয় নিয়ে আত্মতুষ্টি নয়, বরং সেমিফাইনালে সেরাটা দিয়ে ফাইনালে পৌঁছনোই লক্ষ্য লাল-হলুদ হেডস্যার অস্কার ব্রুঁজোর। কোয়ার্টার ফাইনালে জামশেদপুরকে এফসিকে তাদেরই ঘরের মাঠে হারিয়ে আসা ডায়মন্ড হারবারকে একেবারেই হালকা ভাবে নিচ্ছে না ইস্টবেঙ্গল।
তবে দল নিয়ে একেবারেই চিন্তামুক্ত থাকতে পারছেন না অস্কার। পূর্ণশক্তির দল পাবেন না তিনি। মঙ্গলবার অনুশীলনে শুরুতে এলেন না মরক্কোর স্ট্রাইকার হামিদ আহদাদ। মাঝপথে এসে রিহ্যাব করেন তিনি। ডার্বি ম্যাচেই চোট পেয়ে মাঠ ছেড়েছিলেন হামিদ। মিডফিল্ডার রশিদ দলের সঙ্গে নেই ফলে তার না খেলার সম্ভাবনাই বেশি। এদিকে ময়দানের প্রাচীন প্রবাদ, ডার্বি জয়ের পরের ম্যাচ জিততে পারে না ইস্টবেঙ্গল। সেমিফাইনালের আগে কার্ড সমস্যায় ইস্টবেঙ্গল। ইস্টবেঙ্গলের ছয়জন ফুটবলার একটি হলুদ কার্ড দেখে রয়েছেন। সাউল ক্রেসপো, মিগুয়েল ফিগুয়েইরা, স্ট্রাইকার দিমিত্রিয়স দিয়ামান্তাকোস, রাইট ব্যাক মহম্মদ রাকিপ, মিডফিল্ডার সৌভিক চক্রবর্তী এবং ডিফেন্ডার লালচুংনুঙ্গা।
অন্যদিকে ডায়মন্ড হবারবার এফসির কোচ কিবু ভিকুনা বুঝিয়ে দিলেন, শুধু মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গল নয়, তার দলও জিতেই সেমিফাইনালে পৌঁছেছে। তারাও যোগ্য, সম্মান প্রাপ্য ডায়মন্ডেরও। ইস্টবেঙ্গলের পক্ষে বিপুল সংখ্যক সমর্থক থাকলেও ডায়মন্ড হারবারের পক্ষেও দর্শকদের সমর্থন থাকবে বলে আশা করছেন কোচ কিবু। তার কথায়, তিনি বলেন, “ফুটবলে সবকিছু সম্ভব। ম্যাচটা ১১ জন খেলোয়াড়েরা খেলবে। যেই দল ভালো খেলবে তারাই জিতবে। ইস্টবেঙ্গলের মতো আমরাও ভালো দল। আমরা ভালো না হলে এখানে আসতাম না।” ডায়মন্ড হারবার এফসির সচিব আকাশ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “ওরাও ভালো দল, আমরাও ভালো দল। দুটো দল পরপর ম্যাচ জিতেই সেমিফাইনালে উঠেছে। আশা করছি ভালো খেলে ফাইনালে উঠতে পারব।”

