নিজস্ব প্রতিবেদন, বাঁকুড়া: পক্ষীসুমারি হল বাঁকুড়ার রানি মুকুটমণিপুরে। একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ও বন দপ্তরের যৌথ উদ্যোগে মুকুটমণিপুরের কংসাবতী জলাধারে পরিযায়ী পাখির সুমারি হল।
প্রসঙ্গত, প্রতি বছর শীতের এই দিনগুলিতে দেশ-বিদেশের অসংখ্য পরিযায়ী পাখি মুকুটমণিপুরে আসে। স্বাভাবিক নিয়মে শীত শেষে তারা ফিরেও যায়। আর এখানে ওই সব পাখি অবস্থানকালে বেশ কয়েক বছর ধরে গণনার কাজ শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে মুকুটমণিপুর জলাধারের ওপর নৌকোয় চেপে ওই গণনার কাজ করা হয়। উপস্থিত ছিলেন বাঁকুড়ার এডিএফও অসিতকুমার দাস, খাতড়ার রেঞ্জার সীতারাম দাস সহ বন দপ্তরের অন্যান্য আধিকারিকরা।
এদিনের গণনায় প্রায় ১২ রকম প্রজাতির পাখির খোঁজ মিলেছে বলে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা গ্রিন প্ল্যাটুর তরফে জানানো হয়েছে। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, পর্যটন কেন্দ্র মুকুটমণিপুরকে ঘিরে বার্ড ওয়াচিং ইকো ট্যুরিজম সেন্টার গড়ে তুলতে পক্ষী গণনার কাজ করছে বন দপ্তর। এদিনের গণনায় সরাল, রাঙামুড়ি, বালি হাঁস সহ বিভিন্ন প্রজাতির পাখি দেখা গিয়েছে। পক্ষী গননার ওই সংস্থার দাবি, বিগত বছরের তুলনায় এবছর মুকুটমণিপুরে আসা পাখির সংখ্যা কম।
যে সমস্ত পরিযায়ী পাখির সন্ধান মিলছে না, তারা কেন আসছে না কারণ খতিয়ে দেখার পাশাপাশি মানুষজনদের মধ্যে সচেতনতাও গড়ে তোলা হবে বলে বন দপ্তর জানায়।