আগামী পাঁচ দিন কলকাতায় কোনও কালবৈশাখীর পূর্বাভাস নেই, জানিয়ে দেওয়া হল আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের তরফ থেকে। পাশাপাশি আগামী চার দিন টানা কলকাতায় তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করেছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। এদিকে আবার বৃহস্পতিবার থেকেই তাপপ্রবাহের কমলা সতর্কতা জারিও করা হয় দক্ষিণবঙ্গে। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে, অন্তত ১৬ এপ্রিল পর্যন্ত তাপপ্রবাহের আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। তাপপ্রবাহের এই সতর্কতা জারি করা হয়েছে উত্তর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুরে। এই তিন জেলা ছাড়াও, তাপপ্রবাহের কবলে পড়তে পারে হাওড়া, কলকাতা, হুগলি, পূর্ব বর্ধমান। একইসঙ্গে এও আশঙ্কা করা হচ্ছে যে শুক্রবার থেকে রবিবার দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই তাপপ্রবাহের আশঙ্কা। এদিকে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছুঁই ছুঁই। বুধবার দুপুরে ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস পের হয় কলকাতার তাপমাত্রা। এককথায় তাপপ্রবাহের মতো পরিস্থিতি। তারওপর আপেক্ষিক আর্দ্রতা অন্য সময়ের মতো বেশি না থাকায় একেবারে শুষ্ক গরম হাওয়ায় জীবন জেরবার হয়ে যাচ্ছে কলকাতা তথা বঙ্গবাসীর। কলকাতার ফিল লাইক তাপমাত্রা বুধবার দুপুরে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস হয়েছিল বলেই জানানো হয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের তরফ থেকে। পরিস্থিত এমন যে হিটস্ট্রোক হওয়ার উপক্রম। আপাতত শনি-রবিবার পর্যন্ত বৃষ্টিপাতের কোনও সম্ভাবনা নেই।
প্রসঙ্গত, কালবৈশাখী হতে গেলে ছোট নাগপুর মালভূতি, ঝাড়খণ্ড, বাংলার পশ্চিমাঞ্চলের মাটি গরম হতে হয়। আর সঙ্গে বঙ্গোপসাগর থেকে বাংলায় ঢুকতে হয় প্রচুর পরিমাণ জলীয় বাষ্প। যা ভূ-তল থেকে ওপরে উঠে বজ্রগর্ভ মেঘ তৈরি করে। সেই মেঘেই হয় কালবৈশাখী বৃষ্টি। মূলত পশ্চিমাঞ্চল থেকে বৃষ্টি শুরু হয়। এরপর তা হুগলি, বর্ধমান হয়ে আসে কলকাতায়। কিন্তু এই এপ্রিলে তা হচ্ছে না। তার কারণ একটাই বঙ্গোপসাগর থেকে বাংলায় ঢুকছে না জলীয় বাষ্প। মাটি গরম হলেও কালবৈশাখী হতে গেলে যে পরিস্থিতি দরকার তার দেখা নেই।