ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীর জামিনের বিরোধিতা করে বিপাকে ইডি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার এক আধিকারিকের বিরুদ্ধেই এবার কড়া পদক্ষেপ করল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court of India)। ক্যান্সার রোগীর জামিনের মামলার বিরোধিতা করার জন্য ইডি আধিকারিককে ভর্ৎসনা করে আদালতের সময় এবং আইনি খরচ নষ্ট করার কথা বলেছে সুপ্রিম কোর্ট।
সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি এমআর শাহ ও এমএম সুন্দ্রেশের বেঞ্চ এই প্রসঙ্গে বলেছে, ‘আদালতরের সময় ও অযাচিত টাকা নষ্ট করার জন্য এই ধরনেল স্পেশ্যাল লিভ পিটিশন দাখিল করা উচিত নয়।’ দুই বিচারপতির বেঞ্চ এই মামলায় কোনও হস্তক্ষেপ করতে রাজি হয়নি। জামিনের বিরোধিতার আবেদন খারিজ করে আদালত জানিয়েছে, অভিযুক্ত ব্যক্তির ক্যান্সার রয়েছে, এবং সেই অনুযায়ী তাঁকে জামিন দেওয়া উচিত।
২০১৩ সালের একটি আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে জড়ান একটি বেসরকারি ব্যাংকের ম্যানেজার কমল আহসান। প্রয়াগরাজের সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের শাখার ম্যানেজার ছিলেন তিনি। প্রায় ২২ কোটি টাকা নয়ছয়ে অভিযুক্ত ওই ব্যাংক আধিকারিকের বিরুদ্ধে প্রতারণা-সহ একাধিক অভিযোগ আনে ইডি। ২০১৭ সালে দায়ের হয় মামলা। ২০২০ সালের ডিসেম্বরে তিনি গ্রেপ্তার হন। সেই থেকে জেলবন্দি হয়ে রয়েছেন কমল।
সম্প্রতি অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে কমল জামিনের আবেদন করেন হাইকোর্টে। আইনজীবী জানান, ২০১৯ সাল থেকে তাঁর মক্কেল ক্যানসারে ভুগছেন। তা ছাড়া, মধুমেহ এবং ফিসচুলার সমস্যাও রয়েছে। আদালত জামিন দেয় কমলকে। কিন্তু এই রায়ের বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টে যায় ইডি।
এই মামলায় হস্তক্ষেপ করতে রাজি না হয়ে আদালতের গুরুত্বপূর্ণ সময় নষ্টের জন্য এক ইডি আধিকারিককে ১ লক্ষ টাকা জরিমানা করেছে আদালত। ওই ইডি আধিকারিকের বেতন থেকে জরিমানার ১ লক্ষ টাকা আদায় করা হবে। ইডিকে শীর্ষ আদালত নির্দেশ দিয়েছে ৪ সপ্তাহের মধ্যে সুপ্রিম কোর্ট রেজিস্ট্রিতে ওই জরিমানার টাকা জমা দিতে হবে। দুই বিচারপতির বেঞ্চের নির্দেশ জরিমানার ১ লক্ষ টাকা মধ্যে ৫০ হাজার টাকা ন্যাশনাল লিগাল সার্ভিস অথোরিটি এবং বাকি ৫০ হাজার টাকা সুপ্রিম কোর্ট মিডিয়েশন অ্যান্ড কনসিলেশন প্রোজেক্ট কমিটিতে জমা দিতে হবে।