ধর্মের চশমা খুলে দেখুন, সংহতি মঞ্চ থেকে বিজেপিকে নিশানা অভিষেকের

সোমবার সংহতি মঞ্চে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশাপাশি ছিলেন বিভিন্ন ধর্মের প্রতিনিধিরা, যাঁরা এদিন কলকাতায় মমতার ডাকে সর্বধর্ম সমন্বয় মিছিলে হেঁটেছেন। আসলে এটাই যে দেশের আসল ছবি, এই সভামঞ্চ থেকে ফের বার্তা দিলেন তাঁরা। আর নাম না করে অভিষেক স্পষ্ট নিশানা করলেন বিজেপিকে। বলেন, ‘আমরা ধর্মকে সামনে রেখে রাজনীতি করি না।’ পার্কসার্কাস মোড়ে বক্তব্যের মাঝে মসজিদ থেকে আজানের সুর শুনে ভাষণ থামিয়ে দেন অভিষেক। তার পর দ্রুতই শেষ করেন নিজের বক্তৃতা।

অভিষেকের কথায়, ‘দিনটি আপনাদের কাছে গর্বের। কারণ, গোটা দেশে যখন ধর্মের নামে অস্ত্রের ঝনঝনানি চলছে, তখন বাংলায় সব ধর্মের ঐক্য সংহতি দেখিয়েছে। রাজনীতি যখন করবো মানুষের রোটি-কাপড়-মকান নিয়ে করব। গা জোয়ারি করে একুশের ভোটে জিততে পারেনি। বাংলা থেকে কোটি কোটি টাকা নিয়ে গিয়েছে।’

বাংলার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির পরিবেশের কথা ব্যাখ্যা করতে গিয়ে অভিষেক বলেন, ‘রমজানে যদি রাম থাকে আর দিওয়ালিতে যদি আলি থাকে, তাহলে কেন দুই সম্প্রদায়ের মানুষ এক হয়ে থাকতে পারবে না? আমার ধর্ম আমায় বিভাজন শেখায়নি, সবাই মিলে এক হয়ে থাকতে শিখিয়েছে।’ এই সময় মসজিদ থেকে আজানের শধ শুনে বত্তৃ«তা থামান অভিষেক। আজান শেষে তিনি যা বল বলেন, তা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। অভিষেকের কথায়, ‘কেউ বলছেন, হিন্দুরা বিপদে, কেউ বলছেন, মুসলমানরা বিপদে। আমি বলছি, ধর্মের চশমাটা খুলে দেখুন, গোটা হিন্দুস্তানই বিপদে রয়েছে।’

নাম না করেই বিজেপিকে নিশানা করেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। অযোধ্যার আয়োজনকে কটাক্ষ করে তাঁর বক্তব্য, ‘আমি হিন্দু। সেই ধর্মাচরণ আমি বাড়িতে পালন করব। কিন্তু মানুষকে পরিষেবা দেব মানবধর্ম দিয়ে। মানুষকে ভুল বুঝিয়ে একটা রাজনীতি চলছে। ভোট ধর্মের নামে নয়, কাজের নামে, ১০০ দিনের টাকার নামে ভোট দিতে হবে।’

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

2 × 4 =