ডি’কক, ক্লাসেনদের অনুশীলনে শুধুই স্পিনার!

সবে ১০ দিন হয়েছে। ঘা-টা এখনও দগদগে। লজ্জার ইতিহাস মনে করতে না চাইলেও, লুপে যেন বারবার চলে আসে, আর বলে-তুমি লজ্জিত হও। লজ্জিত হওয়ার প্রয়োজন আছে। আর সেই লজ্জা বড় তাড়া করে। তেমনই লজ্জার তাড়া খাচ্ছে এখন দক্ষিণ আফ্রিকা। ৫ নভেম্বর ইডেনের বাইশ গজে মাত্র ৮৩ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস। সেই লজ্জা থেকে বেরোতে কতটা মরিয়া দক্ষিণ আফ্রিকা!

তেইশের বিশ্বকাপে বিধ্বংসী ক্রিকেট খেলেছে প্রোটিয়ারা। তাদের ব্যাটিং বিভাগ নানা রেকর্ডও গড়েছে। চার বার সেমিফাইনালে উঠলেও এই ধাপ পেরোতে পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকা। সঙ্গে জুড়ে গিয়েছে ‘চোকার্স’। এ বার সেই তকমা সরিয়ে ফেলার স্বপ্ন দেখছে দক্ষিণ আফ্রিকা। কিন্তু ভারতের বিরুদ্ধে সেই ম্যাচটা! সেটাই আতঙ্কের অন্যতম কারণ। সেটা যে এখনও ভীষণ ভাবে রয়েছে, পরিষ্কার ধরা পড়ল অনুশীলনে।

সন্ধে ৬টা থেকে দক্ষিণ আফ্রিকার অনুশীলন। সাড়ে ৫টাতেই হাজির বাভুমারা। ইডেনের ক্লাবহাউসের ঠিক ডানদিকে তখন দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য নেট টাঙানো। কিছুক্ষণ ফুটবল অনুশীলন। তারপর ব্যাটাররা ঢুকে পড়লেন সোজা নেটে। শুরুর ১৫ থেকে ৩০ মিনিট রাবাডা-এনগিডিরা বোলিং করেন। তারপর উধাও প্রোটিয়া পেসাররা। নেট জুড়ে তখন শুধুই স্পিনার। শামসি, কেশব মহারাজ, মার্কর‌্যামরা তো বোলিং করলেনই। তার সঙ্গে অফ স্পিন করলেন দলের উইকেটরক্ষক কুইন্টন ডি’কক। এমনকি যে স্থানীয় বোলারদের ডাকা হয়েছিল নেট অনুশীলনে, তাঁদেরও অধিকাংশই স্পিনার। সেই অনুশীলন চলল ঘড়ি ধরে প্রায় ২ ঘন্টা।

৫ নভেম্বর দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ৫ উইকেট নিয়ে ইডেনে নায়ক বনেছিলেন রবীন্দ্র জাডেজা। জাড্ডুর স্পিন অস্ত্রে ধরাশায়ী হয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকার টপঅর্ডার। মাত্র ৮৩ রানে অলআউট। সেই লজ্জা যে কীভাবে তাড়া করছে দক্ষিণ আফ্রিকাকে, তা মঙ্গলবারের স্পিন বোলিংয়ের বিরুদ্ধে ক্লাসেন-মার্কর‌্যাম-ডুসেনদের অনুশীলন দেখে দিনের আলোর মতো পরিষ্কার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

twenty − eight =