এক পরিবারে একজনকেই টিকিট, আমূল বদল আসছে কংগ্রেসে

এবার কড়া পদক্ষেপের পথে কংগ্রেস (Congress)। বৃদ্ধতন্ত্রের অবসান ঘটিয়ে যুবসমাজকে সামনের সারিতে তুলে আনতে একসঙ্গে দলীয় কাঠামোয় একাধিক সংস্কারের পথে হাঁটছে এআইসিসি (AICC)।

পরিবারতন্ত্রের বদনাম ঘোচাতে কংগ্রেসের সিদ্ধান্ত, এবার থেকে এক পরিবারের একজন সদস্যকেই টিকিট দেওয়া হবে। বাবা সাংসদ-ছেলে বিধায়ক, কিংবা বাবা মন্ত্রী-ছেলে সাংসদ, এসব আর চলবে না। শুক্রবার কংগ্রেসের চিন্তন শিবির শুরুর ঠিক আগে আগে দলের অন্যতম সাধারণ সম্পাদক অজয় মাকেন জানিয়েছেন, এক পরিবার এক টিকিট নীতিতে মোটামুটি সবাই একমত। এই নীতি থেকে শুধু গান্ধি পরিবারকে (Gandhi Family) বাদ রাখা হবে। কংগ্রেস সূত্রের খবর, এক পরিবারের একাধিক সদস্য তো টিকিট পাবেনই না। কোনও নেতার আত্মীয়কে টিকিট পেতে হলেও তাঁকে অন্তত পাঁচ বছর কংগ্রেসের হয়ে কাজ করতে হবে।

এদিকে রাজস্থানের উদয়পুরে তিন দিনের চিন্তন শিবিরে সনিয়া এদিন বলেন, ‘আজ আমরা যা কিছু, সবই কংগ্রেস পার্টির জন্য। আজ সময় এসেছে সেই ঋণ শোধ করার।’ পাশাপাশি তীব্র আক্রমণ শানালেন বিজেপিকেও। সনিয়া বলেন, ‘কংগ্রেস ঐতিহাসিক ভাবে দেশের কল্যাণের স্বার্থে কাজ করে এসেছে। আজ সেই দলের সামনে অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। তার কারণ ভারতীয় জনতা পার্টি এবং তার জন-বিরোধী নীতি।’ সনিয়ার আহ্বান, ‘এই পরিস্থিতিতে দলকে প্রয়োজনীয় কিছু বদলের মধ্যে দিয়ে আরও সময়োপযোগী হয়ে উঠতে হবে।’

বলে রাখা দরকার ‘এক ব্যক্তি-এক পদ’ (One Person One Post) নীতি চালুর চেষ্টা ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। যা করতে গিয়ে পদে পদে ধাক্কাও খেতে হচ্ছে কংগ্রেসকে। স্বাভাবিকভাবেই এক পরিবারে এক টিকিটের নীতি চালু করাটাও হাত শিবিরের জন্য রীতিমতো চ্যালেঞ্জিং। তাছাড়া, যেভাবে বর্ষীয়ান নেতাদের সরিয়ে যুব সমাজের প্রতিনিধিদের সব কমিটিতে তুলে আনার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, সেটাও কতটা সম্ভব তা নিয়েও বেশ সন্দিহান রাজনৈতিক মহল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

17 − fourteen =