ডব্লিউবিসিএস পদমর্যাদার আধিকারিকের বিরুদ্ধে বিধিভঙ্গের অভিযোগ, নবান্নকে জানাল বিকাশ ভবন

নিয়োগ দুর্নীতিতে এবার এক ডব্লিউবিসিএস পদমর্যাদার আধিকারিকের বিরুদ্ধে বিধিভঙ্গের অভিযোগ নবান্নের নজরে আনল বিকাশ ভবন। সূত্রে খবর, এই ডব্লিউবিসিএস পদমর্যাদার আধিকারিক স্কুল সার্ভিস কমিশনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন এবং ছিলেনও এক গুরুত্বপূর্ণ পদে। তবে সম্প্রতি অবসর নিয়েছেন তিনি। কমিশনের গুরুত্বপূর্ণ পদে কর্মরত ছিলেন। এই প্রসঙ্গে বিকাশ ভবন সম্প্রতি কর্মিবর্গ ও প্রশাসনিক সংস্কার দপ্তরকে জানিয়েছে, প্রথম এসএলএসটি পরীক্ষার নবম-দশম ও একাদশ-দ্বাদশের প্যানেলের মেয়াদের সময়সীমা বেআইনি ভাবে বাড়ানোর নেপথ্যে এই আধিকারিকের যথেষ্ট বড় ভূমিকা ছিল। এই পরিস্থিতিতে ওই আধিকারিকের ভূমিকার কথা কর্মিবর্গ দপ্তরকে জানিয়ে পরবর্তী প্রশাসনিক ও বিভাগীয় পদক্ষেপের ব্যাপারে জানতে চেয়েছেন শিক্ষাকর্তারা।

এখানে বলে রাখা শ্রেয়, রাজ্য সরকারের সব অফিসার বা আধিকারিকের নিয়ন্ত্রক বিভাগ এই কর্মিবর্গ দপ্তর। সরকারি কাজে ইচ্ছাকৃত অসঙ্গতি বা বেনিয়ম হলে সবার আগে তা এই দপ্তরের নজরেই আনতে হয়। গত ১১ জানুয়ারি কমিশনের সেক্রেটারি বিকাশ ভবনের কর্তাদের চিঠি দিয়ে জানান, ২০১৬-র এসএলএসটি পরীক্ষার ফল ২০১৮-র ১২ মার্চ প্রকাশিত হয়। এক বছর পর, ২০১৯-এর ১২ মার্চ থেকে সেই প্যানেলের মেয়াদ বাড়ানো হয় ১১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। এখানে আরও একটা ব্যাপার উল্লেখ করতেই হয়, তা হল প্রথম এসএলএসটি-র একাদশ-দ্বাদশের প্যানেল প্রকাশিত হয়েছিল ২০১৭ সালের ২৭ নভেম্বর। সেই প্যানেলের মেয়াদ ৫১৩তম রেজলিউশন অনুযায়ী ২০১৯ এর ২৪ জুলাই পর্যন্ত বাড়ানো হয়। এরপরও দু’টি প্যানেলের মেয়াদ আরও বা়ডিয়ে ২০১৯ এর ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত করা হয়েছিল বলে সূত্রে খবর। এ ব্যাপারে ২০১৯-এর ২০ ডিসেম্বরের বৈঠকের একটি বিষয়েও বিকাশ ভবনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে এসএসসি। যেখানে দু’টি প্যানেলের মেয়াদ শেষ হওয়ার দিকে শিক্ষামন্ত্রীর তৈরি করা কমিটি-নির্ধারিত বিধি ও অনুমোদন সাপেক্ষেই তা করার কথা বলা হয়েছে। চিঠিতে কমিশনের বর্তমান সচিবের সংযোজন, শিক্ষক নিয়োগে দু’টি প্যানেলের মেয়াদবৃদ্ধি যুক্তিগ্রাহ্য বিধি ছাড়াই হয়েছে। প্রসঙ্গত, প্যানেলের সময়সীমা থাকে সাধারণত এক বছর। তবে এসএসসি-র বর্তমান সচিবের চিঠি থেকে স্পষ্ট যে “ওয়েস্ট বেঙ্গল স্কুল সার্ভিস কমিশন রুলস ২০১৬ বা অন্য কোনও বিধি অনুযায়ী প্যানেলের বৈধতা বজায় রাখা হয়নি। কিন্তু অভিযুক্ত ওই অফিসার প্যানেলের সময়সীমা বাড়ানোর ক্ষেত্রে উল্টোপথে হেঁটেছিলেন। এই প্রসঙ্গে শিক্ষা দপ্তরের এক আধিকারিক জানান, ‘নিয়মভঙ্গের অভিযোগ উঠেছে। তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

2 + one =