দ্বিতীয় হুগলি সেতু থেকে গঙ্গায় ঝাঁপ দিলেন এক ব্যক্তি। হেস্টিংস পুলিশ সূত্রে খবর, ওই ব্যক্তির নাম আরিফ আনসারি। পেশায় আইনজীবী। কাঁকুড়গাছির মতিলাল বসাক লেনের বাসিন্দা। পাশাপাশি পুলিশ সূত্রে এও জানা গিয়েছে, প্রথামিক ভাবে যে সব তথ্য তাঁধের হাতে এসেছে তাতে জানা যাচ্ছে, গত তিন বছর আগে তিনি বিয়ে করেছেন এবং তাঁদের দুই বছরের একটি সন্তানও রয়েছে। এদিকে আরিফের পরিবার সূত্রে খবর, শুক্রবার রাতে স্ত্রীর সঙ্গে অশান্তি হয় তাঁর। এরপর তিনি শনিবার সকালে বাইক নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। এরপই সোজা চলে আসেন দ্বিতীয় হুগলি ব্রিজের ওপর। এরপর বাইক রেখে গঙ্গায় ঝাঁপ দেন তিনি। ইতিমধ্যেই গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে হেস্টিংস থানার পুলিশ। ব্রিজের ধার থেকেই ওই যুবকের বাইক এবং বাইকের সঙ্গে থাকা চাবিও মেলে। আর এই বাইকের সূত্র ধরেই খোঁজ মেলে আরিফ আনসারির পরিবারের।
পুলিশ সূত্রে খবর, শনিবার সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ এই ঘটনাটি ঘটে। বাইকে করে সেতুতে ওঠার পর একটি নির্দিষ্ট জায়গায় দাঁড়ান আরিফ। এরপর তিনি লাফ দেন সেতু থেকে। তাঁকে সেতুর উপরে উঠতে দেখে প্রাণ বাঁচানোর জন্য এগিয়ে আসেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। এই প্রত্যক্ষদর্শীদের মধ্যে থেকে অনেকেই তাঁকে বোঝানোর চেষ্টা করেন। এর মধ্যে ছিলেন পুলিশ কর্মীরাও। কিন্তু কারও কথায় কর্ণপাত না করেই গঙ্গায় ঝাঁপ দেন আরিফ আনসারি। এদিকে হেস্টিংস পুলিশ সূত্রে খবর, প্রাথমিক ভাবে সাংসরিক অশান্তির ঘটনা সামনে এলেও আদতে কী ঘটেছে তার খোঁজ চালানো হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, ফেব্রুয়ারি মাসেই দ্বিতীয় হুগলি সেতু থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছিলেন গড়িয়ার বাসিন্দা অরিজিৎ দাস। জানা গিয়েছে, এই ঘটনার এক মাস আগে তিনি বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন।