ব্যারাকপুর: রাজ্যে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেই চলেছে। বনগাঁয় শৌচাগারে বোমা ফেটে ১১ বছরের বালকের মৃত্যুর পর এবার বোমা ফাটল ভাটপাড়ার পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের ১ নম্বর সুকান্ত পল্লিতে। সেপটিক ট্যাঙ্কের ওপর আগাছার স্তূপে লুকিয়ে রাখা বোমা ফেটে জখম হলেন এক প্রৌঢ়। বুধবার বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ আচমকা বোমার শধে কেঁপে ওঠে সুকান্তপল্লি ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকা। চারদিক ধোঁয়ায় ছেয়ে যায়। বোমা ফাটার তীব্রতায় আশেপাশের দু-একটি বাড়ি অল্প-বিস্তর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অজন্তা চক্রবর্তী নামে বৃদ্ধা বাড়িতে একাই থাকেন। এদিন পড়শি ৭৫ বছরের নীলমণি বিশ্বাস অজন্তা দেবীর বাড়ির শৌচালয়ের পাশে আগাছার জঙ্গল সাফাই করেছিলেন। সেইসময় সেপটিক ট্যাঙ্কের ওপর আগাছার মধ্যে লুকিয়ে রাখা বোমা আচমকা বিকট শধে ফেটে যায়। বোমার স্পিলন্টার ছিটকে নীলমণিবাবুর বুকে, হাতে ও পিঠে লাগে। তৎক্ষণাৎ তাকে চিকিৎসার জন্য ভাটপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। যদিও প্রাথমিক চিকিৎসার পর হাসপাতাল থেকে প্রৌঢ়কে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বোমা ফাটার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন স্থানীয় কাউন্সিলর সত্যেন রায় ও ভাটপাড়া থানার পুলিশ। ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়ে স্থানীয় কাউন্সিলর সত্যেন রায় বলেন, প্রশাসনের ওপর তাঁর ভরসা আছে।
পুলিশ তদন্ত করে দেখছে, কারা, কেন ওই বাড়ির সেপটিক ট্যাঙ্কের ওপর আগাছার জঙ্গলে বোমা লুকিয়ে রেখেছিল। অন্য দিকে আহত ব্যক্তির ছেলে নারায়ণ বিশ্বাস বলেন, পাশের বাড়ির বয়স্ক মহিলা মাঝে মধ্যেই বাবাকে জঙ্গল সাফাই করতে বলেন। এদিন বেলার দিকে বাবা জঙ্গল সাফাই করেছিলেন। ট্যাঙ্কের ওখানে লুকিয়ে রাখা বোমা ফেটে বাবা আহত হয়েছেন। বাবার শরীরের একাধিক জায়গায় বোমার আঘাত লেগেছে। দেব নারায়নের দাবি, বোমা ফাটার পর থেকে বাবা ঠিকমতো কানে শুনতে পাচ্ছেন না।