ওএমআর শিট বিকৃতিতে নাম জড়াল দেগঙ্গার এক সিপিএম নেতারও। অর্থাৎ, নিয়োগ দুর্নীতির তালিকায় এবার সামনে এল বিরোধী কোনও দলের নেতার নিকটাত্মীয়র নামও।
সূত্রে খবর, দেগঙ্গার চৌরাশি হাইস্কুলের এক ক্লার্কের নাম জড়িয়েছে ওএমআর শিট বিকৃতি কেলেঙ্কারিতে। অভিযুক্তের নাম আমানুর হোসেন। তাঁর বাড়ি দেগঙ্গার চৌরাশি গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসুদেবপুরে । ওয়েস্ট বেঙ্গল সেন্ট্রাল স্কুল সার্ভিস কমিশন যে তালিকা প্রকাশ করেছে তাতে আমানুরের নাম রয়েছে কুড়ি নম্বরে। আর এই ঘটনায় অ্যাডভ্যান্টেজে বিজেপি। বিজেপির অভিযোগ আমানুরের বাবা সিপিআইএম নেতা। শাসক তৃণমূল কংগ্রেস ও সিপিআইএম দুর্নীতিতে মুদ্রার এপিঠ আর ওপিঠ, একথা বলে কটাক্ষও করেন এক বিজেপি নেত্রী। যদিও এই কেলেঙ্কারিতে তৃণমূল ওবিজেপিকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে সিপিআইএম নেতৃত্ব। এই বিষয়ে সিপিআইএম-এর তরফ থেকে বলা হয়েছে, সিপিআইএম -এর কোনও নেতা টাকার বিনিময়ে চাকরি নেননি। তাঁরা আমাদের সমর্থক। তবুও বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখব বলে জানিয়েছে সিপিআইএম নেতৃত্ব।
এদিকে বাড়িতে গেলেও দেখা মেলেনি আমানুরের। এই বিষয়ে চৌরাশি হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক ডঃ শাহরিয়ার ইসলাম বলেন, ‘বিষয়টি আদালতের বিচারাধীন। তাছাড়া এখনও পর্যন্ত কোনও নির্দেশিকা আমরা পাইনি। তাই এই ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করতে পারব না।‘ পাশাপাশি এও জানান, শুক্রবার পর্যন্ত স্কুলে এলেও তারপর থেকে আসেননি আমানুর। তিনি কোনও ছুটিও নেননি বলে জানান প্রধান শিক্ষক শাহারিয়ার। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে বিজেপির বারাসত সাংগঠনিক জেলার সম্পাদিকা দীপিকা চট্টোপাধ্যায় তোপ দেগে বলেন, ‘বামেরা তাঁদের ৩৪ বছরের শাসনকালে অনেক দুর্নীতি করে গিয়েছে। সেগুলি থেকে এখনও বেরোতে পারছে না। আর এখন শাসকদলের সঙ্গে আঁতাত করে এসব কাণ্ড ঘটিয়ে চলেছে। সঠিকভাবে খুঁজে দেখলে তৃণমূল নেতাদের পাশাপাশি অনেক বাম নেতাদেরও কাছের লোক বা আত্মীয়দের নাম এই নিয়োগ দুর্নীতিতে পাওয়া যাবে। আমরা আগেও বলেছি, এখনও বলছি, ওপরে ওপরে যাই বলুক, নিচের দিকে বামেদের সঙ্গে তৃণমূলের এসব দিক দিয়ে ঠিক আঁতাত রয়েছে।’