আর কিছুক্ষণের মধ্যেই শুরু হতে চলেছে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা। তার ঠিক আগে অ্যাডমিট কার্ড হাতে না পাওয়ায় মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছিলেন পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়গপুর ১ নং ব্লকের গজেন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ের পড়ুয়া সোনালি মিদ্দা। তবে এখানে একেবারে ‘মসিহা’ হয়ে দাঁড়াতে দেখা গেল তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়েক। আর এতেই বোঝা গেল কথা তিনি রেখেছেন। কারণ, রাজ্যের নানা জায়গায় জনসভাতে তিনি আশ্বাস দিয়েছিলেন কোনও আপদে বিপদে সাধারণ মানুষের পাশে থাকার। এবার সেই আশ্বাস পূরণ করে দেখালেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক।
মিদ্দা পরিবার সূত্রে খবর, মঙ্গলবার উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হলেও স্কুল থেকে অ্যাডমিট কার্ড পাননি মেয়ে। ফলে চিন্তিত ছিলেন পরিবারের সদস্যরা। এরপর প্রতিবেশীদের পরামর্শে ‘এক ডাকে অভিষেক’-এ ফোন করেন তিনি। আর তা ফোনে জানানো হয় গত শুক্রবার। এরপর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিস থেকে সমস্যার বিষয় এবং বিস্তারিত তথ্য শিক্ষা দপ্তরে দেওয়া হয়। পাশাপাশি সোনালির পরিবারকে যাবতীয় নথি নিয়ে শনিবার বিকাশ ভবনে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। এমনটা জানার পরই এক মুহূর্ত দেরি না করে মেদিনীপুর থেকে কলকাতায় আসেন সোনালির বাবা। এরপর শনিবার মেয়ের অ্যাডমিট কার্ড সংগ্রহ করেন তিনি। ‘এক ডাকে অভিষেক’-এ ফোন করে সমস্যার সমাধান হয়ে যাওয়ায় খুশি সোনালির বাবা খোকন মিদ্দা। খোকনবাবু এও জানান, ‘ওর জীবনের একটা বছর নষ্ট হয়ে যেত। কিন্তু, আমি বাবা হিসেবে তা কোনওভাবেই মেনে নিতে পারছিলাম না। এরপর পরিজনরা আমাকে এক ডাকে অভিষেকে ফোন করার পরমর্শ দিয়েছিলেন। এরপর কী ভাবে অ্যাডমিটের জন্য আবেদন করতে হবে, সেখান থেকেই আমাদের পুরোপুরি গাইড করা হয়। সেই মোতাবেক আমরা আবেদন করি এবং মেয়ে অ্যাডমিট পেয়েছে। আমরা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে কৃতজ্ঞ।’ খুশি সোনালিও। আর পরীক্ষার হলে নিজেকে উজাড় করে দিতেও এবার তৈরি সে।