ব্যারাকপুর :বঙ্গে ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ নিষিদ্ধ করায় বেজায় চেটেছেন উত্তর প্রদেশের ফাতেহপুর কেন্দ্রের সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় গ্রামীন উন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতি। বঙ্গ সফরে জগদ্দলে এসে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সত্য ঘটনা নিয়ে তৈরি দ্য কেরালা স্টোরি। দেশের সমস্ত নাগরিকদের ওই ছবি দেখা উচিত। কিন্তু মমতাদি ভয় পাচ্ছেন। এই ছবি দেখলে জনতা সত্য ঘটনা জেনে যাবে।’ কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর কটাক্ষ, মমতা সরকারের অত্যাচার নিয়েও একদিন ফ্লিম তৈরি হবে। প্রসঙ্গত, দু’দিনের বঙ্গ সফরের প্রথমদিনে বৃহস্পতিবার বিকেলে তিনি প্রথমে জগদ্দল বিধানসভা কেন্দ্রের পানপুরের বাসিন্দা কার্গিল যোদ্ধা শান্তনু সরকারের বাড়িতে যান। ভোট পরবর্তী হিংসায় তাঁর বাড়ি ভাঙচুর করার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ভাঙচুরের দৃশ্য দেখে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বললেন, ‘কার্গিল যুদ্ধের একজন সৈনিকের বাড়ি এমনভাবে ভাঙচুর করা হয়েছে। মনে হচ্ছে আমরা যেন ভারতের বাইরে বাস করছি।’ পানপুর থেকে তিনি যান নৈহাটিতে। সেখানে গিয়ে বঙ্কিম গবেষণা কেন্দ্র ঘুরে দেখেন। তারপর কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নৈহাটির বড়মা-র মন্দির পরিদর্শন করেন। এদিন কেন্দ্রীয় গ্রামীন প্রতিমন্ত্রী ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, ‘বাংলায় লুঠতরাজ চলছে। মিড ডে মিলের টাকাও লুঠ হয়ে যাচ্ছে। যার নজির দেশের অন্য কোনও প্রদেশে নেই।’ সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতির দাবি, বাংলায় শাসকদলের পায়ের তলায় জমি আলগা হয়ে গিয়েছে। তাই মমতাদি ভয় পাচ্ছেন। কিন্তু ২০২৪ সালে ফের দেশের প্রধানমন্ত্রী হবেন নরেন্দ্র মোদিজি। কারণ, মোদিজি দেশের গরিব মানুষদের জন্য কাজ করছেন। এদিন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন ব্যারাকপুর জেলার সভাপতি সন্দীপ বন্দ্যোপাধ্যায় ও মহিলা মোর্চার রাজ্য সভানেত্রী ফাল্গুনী পাত্র ।