বোর্ড গঠনের প্রাক্কালে শাসকদলে যোগদানের হিড়িক তুঙ্গে

নিজস্ব প্রতিবেদন, পুরুলিয়া: বোর্ড গঠনের মুহূর্তে বিভিন্ন দল থেকে শাসকদলে চলছে যোগদানের হিড়িক। কখনও কুড়মি সমাজের সমর্থনে নির্দল থেকে জয়ী প্রার্থী কখনওবা বিজেপি থেকে জয়ী প্রার্থীরা যোগ দিচ্ছেন ঘাসফুল শিবিরে। যদিও বাগমুন্ডি ব্লকের সুইসা তুন্তুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের আটনা থেকে কুড়মি সমাজ সমর্থিত নির্দলের জয়ী গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য তৃণমূলে যোগদানের তিনদিন পর পুনরায় কুড়মি সমাজে ফিরে যাওয়ায় শাসকদল বেশ চাপে বলেই মত রাজনৈতিক শিবিরের।
বাঘমুন্ডি ব্লকের সুইসা তুন্তুড়ী গ্রাম পঞ্চায়েতের কুড়মি সমাজ সমর্থিত জয়ী গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য জয়প্রকাশ মাহাতো বাঘমুন্ডি বিধানসভার তৃণমূল বিধায়ক সুশান্ত মাহাতোর হাত ধরে বিধায়ক কার্যালয়ে এসে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেন। এই যোগদানের ফলে তুন্তুড়ি সুইসা গ্রাম পঞ্চায়েতের ২১টি সদস্যবিশিষ্ট এই পঞ্চায়েতে ১১ জন জয়যুক্ত হয়ে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। তবে কুড়মি সমাজ সমর্থিত নির্দল প্রার্থী তৃণমূলে যোগদান করায় মোট ১২ জন সদস্য হয়।
কিন্তু কুড়মি সমাজের সমর্থনে নির্দল থেকে জয়লাভ করে তৃণমূলে যোগদান করায় এলাকায় নিন্দার ঝড় শুরু হয়। অস্বস্তিতে পড়ে কুড়মি সমাজের নেতৃত্ব। চাপে পড়ে দু’দিন পরেই জয়প্রকাশ মাহাতো পুনরায় কুড়মি সমাজের ঝান্ডা ধরে জয় গরামের স্লোগান দিয়ে কুড়মি সমাজে ফিরে আসেন। জয়প্রকাশ মাহাতো বলেন, ‘ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল, পুনরায় সমাজে ফিরে এলাম।’ এই নিয়ে আদিবাসী কুড়মি সমাজের জেলা সভাপতি গোপাল চন্দ্র মাহাতো বলেন, ‘বিভিন্ন জায়গায় তৃণমূল কংগ্রেস প্রলোভন দেখিয়ে ধমক চমক দিয়ে এই ধরনের ঘটনা ঘটাচ্ছে।’ এগুলোর তীব্র নিন্দা জানান তিনি। বিষয়টি নিয়ে তৃণমূল নেতৃত্ব দাবি করে, কাউকে চাপ দিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করানো হয়নি। বিভিন্ন দল থেকে জয়লাভ করে অনেকেই স্বেচ্ছায় যোগদান করছেন।
এদিকে, জয়পুর ব্লকের ঘাঘরা পঞ্চায়েত থেকে ফরওয়ার্ড ব্লক এবং নির্দল প্রার্থী তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেওয়ায় এই পঞ্চায়েতও দখলে নিয়েছে শাসকদল। অন্যদিকে পুরুলিয়া দু’ নম্বর ব্লকের গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে নির্দল জয়ী প্রার্থী তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করায় এই পঞ্চায়েতও বিনা বাধায় দখল করতে চলেছে শাসকদল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

7 + fourteen =