কেন্দ্রের বিরুদ্ধে লাঞ্ছনার অভিযোগে আগামী ২৯ ও ৩০ মার্চ আম্বেদকরের মূর্তির সামনে ধরনায় বসবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঠিক ওই দিনই রাজ্য সরকারি কর্মীরা বকেয়া ডিএ-র দাবিতে আন্দোলনে পা মেলাবেন কলকাতার রাজপথে। সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের তরফ থেকে এই কর্মসূচির দিন ধার্য করা হয়েছে আগামী ৩০ মার্চ। সূত্রে খবর, এই দিন হাওড়া ও শিয়ালদহ থেকে মিছিল বের করবেন সরকারি কর্মচারিরা। একই দিনে গণ ছুটিরও ডাক দেওয়া হয়েছে। ফলে নিঃসন্দেহে এই ৩০ মার্চের দিকে তাকিয়ে রাজনীতিবিদ থেকে আমজনতাও। কাণ, এইদিনটি যে ঘটনাবহুল হতে চলেছে তা কাউকে বুঝিয়ে বলার বিশেষ প্রয়োজন পড়ে না।
এ ব্যাপারে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের তরফ থেকে জানানো হয়েছে যে, এই মহামিছিলের আগে ২৬ মার্চ বকেয়া ডিএ নিয়ে রাজ্যের পরিস্থিতি জানিয়ে গণ ই-মেল করবেন সরকারি কর্মচারিরা। এরপর ১০-১১ এপ্রিল ধরনা হবে যন্তর-মন্তরে।
প্রসঙ্গত, কেন্দ্রের সমহারে ডিএ-র দাবিতে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমেছেন রাজ্যের সরকারি কর্মচারিদের একাংশ। বিধানসভায় বাজেট অধিবেশনে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে তিন শতাংশ ডিএ ঘোষণা হলেও খুশি নন ডিএ আন্দোলনকারীরা। এদিকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কিন্তু স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন যে, ‘আমি অধিকার কাড়ার পক্ষে নই, অধিকার দেওয়ার পক্ষে। যেটা আইনি স্বীকৃত।’ এরই পাশাপাশি তিনি এও জানিয়েছেন, রাজ্য সরকারি কর্মচারিদের কেন্দ্রের হারে মহার্ঘ ভাতা দেওয়া সম্ভব নয়। এই প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী এও বলেন, ‘কাজ করবেন রাজ্য সরকারে, আর কেন্দ্রের হারে টাকা দিতে হবে, সেটা চলতে পারে না। রাজ্য রাজ্যের পে কমিশন অনুযায়ী চলে। আমরা ষষ্ঠ পে কমিশন অনুযায়ী টাকা দিয়েছি।’