এসএলএসটি বঞ্চিত চাকরি প্রার্থীদের আন্দোলন দেখতে দেখতে পা দিল ৮০০ দিনে। অর্থাৎ, প্রায় দু বছরেরও বেশি। তবুও মিলছে না তাঁদের হকের চাকরি। এই ৮০০ দিনে দাবদাহ থেকে নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগকে মাথায় নিয়ে দিনের পর দিন রাস্তায় কাটাচ্ছেন তাঁরা। এরপরও রাজ্য সরকারের কাছ থেকে আসেনি কোনও নোটিশ। না পেয়েছেন আশ্বাস। জানা নেই কবে মিলবে চাকরি।
এদিকে দফায় দফায় আন্দোলন হয়েছে। আন্দোলনের জায়গা বদলেছে। কখনও প্রেস ক্লাবের সামনে অনশন, কখনও সেন্ট্রাল পার্কে অবস্থান আর বর্তমানে ধর্মতলায় গান্ধিমূর্তির নীচে অবস্থান। আন্দোলনের জায়গা বদল হলেও, ঝাঁঝ কমেনি এতটুকুও। বরং উত্তরোত্তর বেড়েছে। রাজ্য সরকার উদ্যোগ নিয়েছে বটে সমস্যা সমাধানের, কিন্তু কোনও সুরাহা হয়নি। একাধিকবার এসএসসি চেয়ারম্যান, শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করে কোনও সুরাহা হয়নি। রাজ্যের শাসক দলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠকও কোনও সমাধান সূত্র বেরিয়ে আসেনি। এদিকে সরকার সুপারনিউমেরারি পদের মাধ্যমে এদের নিয়োগ দিতে গিয়ে হাইকোর্টে মুখ থুবড়ে পড়েছে রাজ্য। এখন এদের ভবিষ্যত সরকারের ও সুপ্রিম কোর্টের হাতে।
এদিকে মঙ্গলবার কালীঘাটের মা কালীর কাছে পুজো দিয়ে আন্দোলন শুরু করেন এসএলএসটি চাকরি প্রার্থীরা। শুধু তাই নয় রক্ত দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পাঠানো হল এক চিঠিও। সিরিঞ্জে রক্ত নিয়ে সেই রক্ত দিয়ে এই চিঠি লিখেছেন তাঁরা। শুধু তাই নয় মঙ্গলবার মুখে কালি মেখেও বিক্ষোভ করতে দেখা যায় তাঁদের। আন্দোলনরত চাকরিপ্রার্থীদের তরফ থেকে জানানো হয়, ‘এটা আমাদের শেষ প্রতিবাদ। চিঠি লিখে আমরা প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আর আমাদের কিছু অবশিষ্ট নেই। রক্ত দিয়ে আমাদের আবেদন আমাদের যেন দ্রুত নিয়োগ করেন।‘
পাশাপাশি এ দাবিও তোলা হয়, ‘আমরা চাইছি দ্রুত নিয়োগ হোক। আর কতদিন এখানে বসে থাকব আমরা? তারই উত্তর জানতে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে রক্ত দিয়ে চিঠি পাঠাচ্ছি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের কাছে।‘