ঠিক সকাল ১১টা থেকে সংসদে এই স্পিকার নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরু হয়। ওম বিড়লাকে স্পিকার নির্বাচিত করার প্রস্তাব পেশ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শাসকদলের মনোনীত প্রার্থী ওম বিড়লার বিপরীতে বিরোধীদের তরফে রয়েছেন কে সুরেশ। সেই প্রস্তাব সমর্থন করেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। কে সুরেশকে নির্বাচিত করার পক্ষেও প্রস্তাব দেন একে একে বিরোধী সাংসদরা। ডিভিশন চায়নি বিরোধীরা। ধ্বনিভোটে স্পিকার পদে নির্বাচিত হলেন এনডিএ মনোনীত প্রার্থী ওম বিড়লাই। তাঁকে অভিনন্দন জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। অভিনন্দন জানান বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধিও। তাঁরা ওম বিড়লাকে নিয়ে গিয়ে স্পিকারের আসনে বসান।
বুধবার সংসদ অধিবেশন শুরুর আগে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরেণ রিজিজু বলেন, ‘সর্বসম্মতিক্রমে স্পিকার বেছে নেওয়াই সকলের পক্ষে ভালো। আমাদের হাতে এখনও সময় রয়েছে। ফের একবার কংগ্রেসের কাছে আর্জি জানাব। তা সত্ত্বেও যদি ভোটাভুটির দিকে পরিস্থিতি গড়ায় তবে আমরা প্রস্তুত।’ তাঁর সংযোজন, ‘সংসদে আমরা সকলেই সহকর্মী। আমাদের একসঙ্গে কাজ করতে হবে। আমরা ভেবেছিলাম আমাদের দেওয়া প্রস্তাব ভালোভাবেই গ্রহণ করবে বিরোধীরা। তবে তা হয়নি।’
এদিকে, ভোটাভুটির আগে মুখ খোলেন কে সুরেশও। ইন্ডিয়া জোটের মনোনীত প্রার্থীর কথায়, ‘বিরোধীরা এককাট্টা রয়েছে। আমিও আত্মবিশ্বাসী। নম্বরটা বড় কথা নয়। গণতন্ত্রে বুলডোজার চালানোর যে নীতি নেওয়া হয়েছে আমাদের প্রতিবাদ তার বিরুদ্ধে। আমরা ভোটাভুটির দিকেই যেতে আগ্রহী।’ কে সুরেশ আরও বলেন, ‘বিরোধী জোটের শরিকদের মধ্যে কোনও মতানৈক্য নেই। গতকালের বৈঠকে সমস্ত দলের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। ভুল বোঝাবুঝি মিটে গিয়েছে।’ স্পিকার নির্বাচনে শেষ পর্যন্ত ভোটাভুটি হলে লোকসভায় ব্যবহার করা হবে কাগজের স্লিপ। কারণ নয়া সংসদ ভবনে এখনও ইলেকট্রনিক ভোটিং সিস্টেম চালু হয়নি।