২০০৪ সালের এই দিনে দত্তোপন্ত ঠেংগড়ির মৃত্যু হয়। তিনি ছিলেন ভারতের একজন বিশিষ্ট জাতীয়তাবাদী ট্রেড ইউনিয়ন নেতা এবং ভারতীয় মজদুর সংঘ (BMS)-এর প্রতিষ্ঠাতা। ঠেংগড়ির জন্ম ১৮৯৮ সালে মহারাষ্ট্রের অমরাবতী জেলায় হয়েছিল। তিনি তাঁর জীবন উৎসর্গ করেছিলেন ভারতীয় শ্রমিকদের কল্যাণ এবং তাদের অধিকার রক্ষার জন্য।
দত্তোপন্ত ঠেংগড়ি ভারতীয় শ্রমিক আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছিলেন এবং শ্রমিকদের জন্য সংগঠিত লড়াইয়ের ভিত্তি স্থাপন করেন। তিনি ভারতীয় মজদুর সংঘ গঠন করেন, যা আজ ভারতের বৃহত্তম ট্রেড ইউনিয়ন সংস্থা হিসেবে বিবেচিত। ঠেংগড়ির বিশ্বাস ছিল, শ্রমিকদের সংগঠিত হয়ে নিজেদের অধিকার ও সামাজিক ন্যায়বিচারের জন্য সংগ্রাম করা উচিত।
তিনি শ্রমিকদের আর্থিক ও সামাজিক অবস্থার উন্নতির জন্য অনেক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন, যেমন—উত্তম বেতন, নিরাপদ কর্মপরিবেশ এবং সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। তাঁর নেতৃত্ব ও সংগ্রাম ভারতীয় শ্রমিক আন্দোলনকে এক নতুন দিশা দেয়।
দত্তোপন্ত ঠেংগড়ির জীবন ও কর্ম আজও শ্রমিক ও তরুণ নেতাদের জন্য এক প্রেরণার উৎস। তাঁর অবদানে ভারতীয় শ্রমিক আন্দোলন মজবুত হয়েছে এবং সামাজিক ন্যায় ও জাতীয় উন্নয়নের জন্য তাঁর নাম অমর হয়ে রয়েছে।
গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাবলি
- ১৮৮২ – শিমলায় পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি ছিল ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক সরকারের চতুর্থ বিশ্ববিদ্যালয়।
- ১৯৩৩ – জার্মানি মিত্র শক্তির গোষ্ঠী থেকে সরে যাওয়ার ঘোষণা দেয়।
- ১৯৪৩ – জাপান ফিলিপাইনের স্বাধীনতা ঘোষণা করে।
- ১৯৪৬ – হল্যান্ড ও ইন্দোনেশিয়ার মধ্যে যুদ্ধবিরতির চুক্তি স্বাক্ষর।
- ১৯৪৮ – ইজরায়েল ও মিশরের মধ্যে তীব্র লড়াই শুরু হয়।
- ১৯৫৩ – ভারতে সম্পত্তি কর আইন কার্যকর হয়।
- ১৯৫৬ – ডঃ ভীমরাও আম্বেডকর তাঁর ৩,৮৫,০০০ অনুসারীদের সঙ্গে বৌদ্ধ ধর্ম গ্রহণ করেন এবং ২২টি বৌদ্ধ প্রতিজ্ঞা গ্রহণের আহ্বান জানান।
- ১৯৬৪ – মার্টিন লুথার কিং জুনিয়র বর্ণবৈষম্যের বিরুদ্ধে অহিংস সংগ্রামের জন্য নোবেল শান্তি পুরস্কারে ভূষিত হন।
- ১৯৬৪ – নিকিতা ক্রুশ্চেভ সোভিয়েত ইউনিয়নের কমিউনিস্ট পার্টির প্রথম সচিবের পদ থেকে অপসারিত হন এবং লিওনিদ ব্রেজনেভ তাঁর স্থলাভিষিক্ত হন।
- ১৯৭৯ – জার্মানির বনে পারমাণবিক শক্তির বিরুদ্ধে লক্ষাধিক মানুষের বিক্ষোভ।
- ১৯৮১ – হোসনি মোবারক মিশরের চতুর্থ রাষ্ট্রপতি হন।
- ১৯৯৪ – ইয়াসির আরাফাত, ইৎজাক রবিন এবং শিমন পেরেজ নোবেল শান্তি পুরস্কারে ভূষিত হন।
- ১৯৯৭ – ব্রিটেনের রাণী এলিজাবেথ ও প্রিন্স ফিলিপ অমৃতসরের জলিয়ানওয়ালাবাগে শহীদদের শ্রদ্ধা জানান।
- ১৯৯৯ – মার্কিন সিনেটে পারমাণবিক পরীক্ষা নিষিদ্ধকরণ চুক্তি (CTBT) প্রত্যাখ্যাত হয়।
- ২০০০ – আমেরিকা পাকিস্তানসহ ২২টি দেশে তার দূতাবাস বন্ধ করে দেয়।
- ২০০২ – বুসানে ১৪তম এশিয়ান গেমসের রঙিন সমাপ্তি।
- ২০০৪ – পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদ প্রেসিডেন্ট পারভেজ মুশাররফকে সেনাপ্রধান হিসেবে রাখার বিল পাস করে।
- ২০০৭ – আন্তর্জাতিক পারমাণবিক শক্তি সংস্থা (IAEA) নেপালকে চিকিৎসা ও কৃষিক্ষেত্রে পারমাণবিক প্রযুক্তি ব্যবহারের অনুমতি দেয়।
- ২০০৮ – ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংক মিউচুয়াল ফান্ডগুলোর চাহিদা মেটাতে অতিরিক্ত ২০০ বিলিয়ন রুপি দেওয়ার ঘোষণা করে।
- ২০১০ – দিল্লিতে ১৯তম কমনওয়েলথ গেমসের সমাপ্তি।
- ২০১২ – নাইজেরিয়ার এক মসজিদে বন্দুকধারীদের হামলায় ২০ জন নিহত।
- ২০২১ – তাইওয়ানে একটি ভবনে আগুন লেগে ৪৬ জনের মৃত্যু।
জন্ম
- ১৬৪৩ – বাহাদুর শাহ প্রথম, মোগল সম্রাট।
- ১৮৬৩ – লালুভাই সামলদাস মেহতা – বিশিষ্ট শিল্পপতি।
- ১৮৮৪ – লালা হরদয়াল – বিখ্যাত বিপ্লবী ও ‘গদর পার্টি’র প্রতিষ্ঠাতা।
- ১৯২৪ – বীরেন্দ্র কুমার ভট্টাচার্য – অসমীয়া সাহিত্যিক।
- ১৯৩০ – মোবুতু সেস সেকো – জায়ারের (বর্তমান কঙ্গো) রাষ্ট্রপতি।
- ১৯৩১ – নিখিল রঞ্জন ব্যানার্জী – প্রখ্যাত সঙ্গীতশিল্পী।
- ১৯৫০ – সেকেন্ড লেফটেন্যান্ট অরুণ ক্ষেত্রপাল – পরম বীর চক্র বিজয়ী ভারতীয় সৈনিক।
- ১৯৭৯ – ঋত্বিক ভট্টাচার্য – ভারতীয় স্কোয়াশ খেলোয়াড়।
- ১৯৯৬ – হরজিন্দর কৌর – ভারতীয় মহিলা ভারোত্তোলক।
মৃত্যু
- ১২৪০ – রজিয়া সুলতানা – ভারতের প্রথম মহিলা শাসক।
- ১৯৪৭ – নারসিংহ চিন্তামন কেলকার – লোকমান্য তিলকের সহযোগী ও মারাঠি সাহিত্যিক।
- ১৯৯৮ – দশরথ দেব – সিপিএম রাজনীতিক।
- ২০০৪ – দত্তোপন্ত ঠেংগড়ি – জাতীয়তাবাদী ট্রেড ইউনিয়ন নেতা ও BMS-এর প্রতিষ্ঠাতা।
- ২০১৩ – মোহন ধারিয়া – প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও সমাজকর্মী।
- ২০১৪ – জন রিড – নিউজিল্যান্ডের ক্রিকেটার ও সাবেক অধিনায়ক।
- ২০২০ – শোভা নাইডু – ভারতের অন্যতম প্রখ্যাত কুচিপুড়ি নৃত্যশিল্পী।
গুরুত্বপূর্ণ দিবস
- বিশ্ব মানক দিবস
- বিশ্ব ডাক দিবস (সপ্তাহ)
- জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস (সপ্তাহ)

