বৃহস্পতিবার শহিদ মিনারের ধর্না মঞ্চে উত্তরবঙ্গের আলিপুরদুয়ার থেকে যোগ দিতে এসেছিলেন চৈতালি সরকার। তবে ধর্নামঞ্চে কিছুক্ষণ থাকার পরই অসুস্থ বোধ করতে থাকেন তিনি। এদিকে আন্দোলনকারীদের তরফের অভিযোগ, প্রথমে প্রশাসন থেকে কোনও সহযোগিতাই মেলেনি। তবে বারবার অনুরোধ জানানোর পর পরবর্তীতে প্রশাসন থেকে অ্যাম্বুল্যান্সের ব্যবস্থা করা হয় এবং চৈতালি সরকারকে এসএসকেএম হাসাপাতালে নিয়েও যাওয়া হয়। পরবর্তীতে প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয় বলে সূত্রে খবর। পাশাপাশি এও জানানো হয়েছে যে, চৈতালিদেবী র আলিপুরদুয়ার জেলার মাদারিহাট উচ্চ বিদ্যালয়ে রিটেল বিভাগের ল্যাব অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে কর্মরত। চৈতালিদেবীর এদিনেরএ ধর্নামঞ্চে যোগ দেওযার কারণ, যাঁরা এনএসকিউএফ বৃত্তিমূলক শিক্ষক হিসেবে বর্তমানে কর্মরত আছেন তাঁরাও মাসের বেতন মাসে পাচ্ছেন না, সামাজিক সুরক্ষা নেই এবং যখন তখন ছাঁটাই করে দেওয়া হুমকি মেলে। এই প্রসঙ্গে চৈতালিদেবী এও জানান, মুখ্যমন্ত্রীর কাছ থেকে এই সমস্যার সমাধানের আশায় উত্তরবঙ্গ থেকে দক্ষিণবঙ্গে এসেছেন। পাশাপাশি তিনি এদিন এও দাবি করেন, ‘আমরা সবাই যোগ্য, অবিলম্বে মুখ্যমন্ত্রী আমাদের বকেয়া বেতন সহ বিদ্যালয়ে পুনর্বহাল ও সকলের ৬০ বছর বয়স পর্যন্ত চাকরি সুনিশ্চিত করা হোক। মানবিক মুখ্যমন্ত্রী আমাদের দিকটা দেখুন।‘
এদিকে পশ্চিমবঙ্গ এনএসকিউএফ অর্থাৎ ন্যাশনাল স্কিলস কোয়ালিফিকেশন ফ্রেমওয়ার্ক শিক্ষক পরিবার সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক শুভদীপ ভৌমিক জানান, ‘গত ১০ বছর ধরে এই সমস্যা চলছে। স্থায়ী বিষয়ে অস্থায়ীভাবে নিয়োগ করে দুর্নীতি হচ্ছে সব জেনেও মুখ্যমন্ত্রী চুপ করে আছেন। আমাদের সমস্যার সমাধান চাই অবিলম্বে।’ পাশাপাশি শুভদীপবাবু এও জানান, হাইকোর্টের নির্দেশে অবস্থানের অনুমতি মিলেছে ৬০ দিনের। বৃহস্পতিবার নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গ সমগ্র শিক্ষা মিশনের অন্তর্গত ন্যাশনাল স্কিলস কোয়ালিফিকেশন ফ্রেমওয়ার্ক অর্থাৎ এনএসকিউএফ বৃত্তিমূলক শিক্ষক ও ল্যাব অ্যাসিস্ট্যান্টদের ধর্মতলার গান্ধি মূর্তির পাদদেশে অবস্থান পা দিল ৫২ দিনে।