নিক কিরগিয়স জীবনে প্রথমবার গ্র্যান্ড স্ল্যাম ফাইনালে খেলছেন। উলটো দিকে রয়েছেন কুড়িটি গ্র্যান্ড স্ল্যামের মালিক নোভাক জকোভিচ। উইম্বলডন ফাইনালের এহেন অসম লড়াইয়ে সবাই এগিয়ে রেখেছিলেন জকোভিচকেই। সকলের অনুমান সত্যি করে চার সেটে ম্যাচ জিতে নিলেন তিনি। ফল নোভাকের পক্ষে ৪-৬, ৬-৩,৬-৪, ৭-৬। প্রথম সেট হারলেও দাপটের সঙ্গে পরের তিন সেটে ম্যাচ ছিনিয়ে নিলেন সার্বিয়ান কিংবদন্তি। ২১ নম্বর গ্র্যান্ড স্ল্যাম ট্রফি জিতে রজার ফেডেরারকে পিছনে ফেলে দিলেন।
ফাইনালে প্রথমে কিছুটা দাপট দেখিয়েছিলেন জকোভিচ। কিন্তু সকলকে অবাক করে ম্যাচে ফিরে আসেন টেনিসের ব্যাড বয়। টানা গেম জিততে থাকেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ৬-৪ ফলে প্রথম সেট জিতে নেন কিরগিয়স।কিন্তু দ্বিতীয় সেটেই দুরন্ত কামব্যাক করেন জকোভিচ। আক্রমণাত্মক টেনিস খেলে চাপে ফেলে দেন অস্ট্রেলিয় প্রতিপক্ষকে। ৬-৩ ফলে সেট জিতে নেন তিনি।
তৃতীয় সেট শুরু হতেই টানটান লড়াই দেখা যায় দু’জনের মধ্যে। জকোভিচকে সমানে টক্কর দিয়েছিলেন কিরগিয়সও। একটা সময় পর্যন্ত এই সেটে এগিয়ে ছিলেন অস্ট্রেলিয় তারকা। মাথা ঠাণ্ডা রেখে ধীরে ধীরে সেটের নিয়ন্ত্রণ নিজের হাতে টেনে নেন জকোভিচ। শেষ হাসি হাসেন তিনিই। ৬-৪ ফলে সেট জিতে যান সার্বিয়ান কিংবদন্তি।
চতুর্থ সেটেই ম্যাচ জিতে যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল জকোভিচের। কিন্তু প্রথম গেম জিতে এগিয়ে যান কিরগিয়স।পরের গেমেই সমতা ফেরান টেনিস সার্কিটের ‘জোকার’। তবে এই সেটের ভাগ্য পেন্ডুলামের মতোই দুলতে থাকে। টাইব্রেকারে গড়ায় চতুর্থ সেট। শেষ পর্যন্ত ৭-৬ ফলে সেট জিতে যান জকোভিচ।
ভ্যাকসিন না নেওয়ার ফলে অস্ট্রেলীয় ওপেনে নামতে পারেননি জকোভিচ। ফরাসি ওপেনে খেললেও কোয়ার্টার ফাইনালে রাফায়েল নাদালের কাছে হার মানতে হয় তাঁকে। ভ্যাকসিন নেননি বলে যুক্তরাষ্ট্র ওপেনেও খুব সম্ভবত নামতে পারবেন না তিনি। চলতি বছরে তাঁর একমাত্র গ্র্যান্ড স্ল্যাম জেতার সুযোগ উইম্বলডনেই। সেই সুযোগকেই কাজে লাগালেন তিনি। সপ্তমবারের মতো উইম্বলডন ট্রফি উঠল তাঁর হাতে।