যুক্তরাষ্ট্র ওপেন খেলবেন না, জানিয়ে দিলেন জকোভিচ

জল্পনাই সত্যি হল শেষ পর্যন্ত। কোভিড প্রতিষেধক নেওয়ার ব্যাপারে নিজের অবস্থান থেকে একচুলও সরলেন না নোভাক জকোভিচ। তিনি কোভিড টিকা নেবেনও না। ফলে আসন্ন যুক্তরাষ্ট্র ওপেন থেকে নিজের নাম প্রত্যাহার করে নিলেন টেনিস কিংবদন্তি। বৃহস্পতিবার ট্যুইট করে জানিয়ে দিলেন ২১টি গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ী সার্বিয়ান সুপারস্টার। আগামী ২৯ অগস্ট থেকে শুরু হবে বছরের শেষ গ্র্যান্ড স্লাম। চলবে ১১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।

মার্কিন মুলুকে অনুষ্ঠিত টেনিসের ঐতিহ্যবাহী আসরে অংশ নেওয়ার জন্য জকোভিচের কোভিড টিকা নেওয়া ছিল বাধ্যতামূলক। ফলে জকোভিচের ফ্লাশিং মেডোজে নামা নিয়ে শুরু থেকেই ধোঁয়াশা ছিল। জকোভিচ কোভিড টিকা নেবেন না বলেই, বছরের শুরু থেকেই একাধিক টুর্নামেন্টে অংশ নেননি। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হল যুক্তরাষ্ট্র ওপেন। যুক্তরাষ্ট্র ওপেনের চূড়ান্ত ড্র হওয়ার ঠিক আগেই চলে এল জোকারের ট্যুইট।
চলতি বছরের শুরুতে ৩৪ বছর বয়সী জকোভিচ কেরিয়ারের ২১তম গ্র্যান্ডস্লাম জয়ের স্বপ্ন নিয়ে পা রেখেছিলেন অস্ট্রেলিয়ায়।

পাখির চোখ ছিল অস্ট্রেলিয়ান ওপেন। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ায় পা রাখার পর থেকেই সমস্যায় জর্জরিত হয়ে পড়েন জকোভিচ। ভিসা জটিলতায় তাঁকে দীর্ঘক্ষণ আটকে রাখা হয়েছিল মেলবোর্ন বিমানবন্দরে। বিমানবন্দরের বাইরে পা রাখার অনুমোদনও পাননি ২০টি গ্র্যান্ডস্লাম জয়ী। জানা যায় জকোভিচের ভিসার আবেদনপত্রে ‘ভুল’ রয়েছে। এরপরই তাঁর অস্ট্রেলিয়ান ওপেন খেলা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়। এছাড়াও জকোভিচের করোনা টিকাকরণ না হওয়ায় মেডিক্যাল ছাড়পত্র পাওয়া নিয়েও বিস্তর সমস্যা হয়। কারণ অস্ট্রেলিয়া সেসময় কঠোর কোভিড বিধি মেনে চলছিল এবং টিকা না নেওয়ায় ভিসাই বাতিল হয়ে যাচ্ছিল জকোভিচের। টেনিস মহাতারকা হোটেলেই নিজেকে বন্দি করে রেখেছিলেন। নিজে জনসমক্ষেও আসেননি।

এরপর জকোভিচ অস্ট্রেলিয়ার সরকারের বিরুদ্ধে আইনি লড়াইয়ের পথ বেছে নেন। জকোভিচকে স্বস্তি দিয়ে আদালত জানিয়ে দেয় যে, বিশ্বের এক নম্বর টেনিস খেলোয়াড়ের ভিসা বাতিল করা যাবে না। পাশাপাশি অস্ট্রেলিয়া থেকেও জকোভিচকে বহিস্কার করা যাবে না। যদিও জকোভিচের অস্ট্রেলিয়ান ওপেন খেলা হয়নি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

three − 2 =