করোনা টিকা ছাড়া অস্ট্রেলিয়ায় ঢুকে বিপাকে পড়েছিলেন বিশ্ব টেনিসের কিংবদন্তি তারকা নোভাক জকোভিচ। কিন্তু মঙ্গলবার সুখবর পেলেন বিশ্বের এক নম্বর টেনিস তারকা। করোনার টিকা না নেওয়া সত্বেও উইম্বলডন খেলতে বাধা রইল না তাঁর। মঙ্গলবার বিশ্ব টেনিসের অন্যতম অভিজাত প্রতিযোগিতা উইম্বলডনের আয়োজক সংস্থা অল ইংল্যান্ড ক্লাবের মুখ্য আধিকারিক স্যালি বোল্টন জানিয়েছেন, ‘করোনা টিকা ছাড়াই উইম্বলডনে খেলতে পারবেন সার্বিয়ান তারকা।’
আগামী ২৭ জুন থেকে শুরু হচ্ছে উইম্বলডন প্রতিযোগিতা। শুরু আগেই অবশ্য বিতর্কের মুখে পরেছে বিশ্বের অন্যতম অভিজাত প্রতিযোগিতা। ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়া সামরিক অভিযান শুরু করায় রাশিয়া ও বেলারুশের টেনিস তারকাদের প্রতিযোগিতায় যোগদান নিষিদ্ধ করেছে ব্রিটেন সরকার। ফলে চলতি বছরের প্রতিযোগিতা অনেকটাই জৌলুস হারাবে বলে মনে করছেন টেনিস প্রেমীরা।
করোনা টিকা না নেওয়ায় বিশ্ব টেনিসের এক নম্বর তারকা নোভাক জকোভিচ (জোকার নামেই যিনি অনুরাগীদের কাছে পরিচিত) উইম্বলডন প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারবেন কিনা তা নিয়ে জল্পনা চলছিল। গত জানুয়ারি মাসে অস্ট্রেলিয়ান ওপেন খেলতে গিয়ে বিপাকে পড়েছিলেন সার্বিয়ান তারকা। করোনা টিকা না নিয়ে প্রবেশ করায় অস্ট্রেলিয়া পুলিশের হাতে গ্রেফতার হতে হয়েছিল ৩৪ বছর বয়সী টেনিস তারকাকে। শেষ পর্যন্ত তাঁকে দেশ থেকে বের করে দেওয়া হয়। ফলে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে অংশ নিতে পারেননি তিনি। এদিন উইম্বলডনের আয়োজক সংস্থা অল ইংল্যান্ড ক্লাবের মুখ্য আধিকারিক স্যালি বোল্টন সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা চাই প্রতিযোগিতার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাই করোনার টিকা নিন। কিন্তু করোনা টিকা নেওয়া বাধ্যতামূলক করতে চাই না। তাই জকোভিচের অংশ নেওয়ার বিষয়ে কোনও অনিশ্চিয়তা নেই।’
কিন্তু তারপরও নিজের সিদ্ধান্তে অনড় থাকেন ২০টি গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ী তারকা। বরং রীতিমতো হুঙ্কার দিয়েই জানিয়ে দেন, ভ্যাকসিন নেবেন না। তার জন্য যে কোনও মূল্য চোকাতে রাজি তিনি। টিকা না নেওয়ায় যদি ফরাসি কিংবা উইম্বলডন ওপেনে অংশ নিতে না পারেন, তাহলেও কুছ পরোয়া নহি। তিনি বলে দেন, “হ্যাঁ, সে মূল্য দিতেও আমি রাজি।” তবে উইম্বলডনে খেলার সবুজ সংকেত পেয়ে গেলেন জোকার।
আগামী ২৭ জুন থেকে শুরু উইম্বলডন। স্যালি বোল্টন জানান, “আমরা সবসময়ই টিকা নেওয়ার বিষয়টিকে উৎসাহ দিয়ে থাকি। কিন্তু প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার ক্ষেত্রে এটি বাধা হয়ে দাঁড়াবে না।” তবে ইউএস টেনিস অ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছিল, যুক্তরাষ্ট্র ওপেনে প্রতিযোগীদের অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে সরকার যা নিয়মবিধি বেঁধে দেবে, সেটাই অনুসরণ করা হবে। আগস্টে শুরু হবে সেই গ্র্যান্ড স্লাম।