আদানি ইস্যুতে বিজেপির লোকানোর কিছু নেই, এমনটাই দাবি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের। এদিকে আদানি ইস্যুতে উত্তাল গোটা দেশ। প্রধানমন্ত্রী কিংবা কেন্দ্রের তরফে এই মর্মে জবাব চেয়ে সংসদে সরব হয়েছিলেন বিরোধীরা। ‘ এমনকী বিরোধী শিবির থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ‘মৌনীবাবা’ কটাক্ষও শুনতে হয়। তবে বিরোধী শিবির থেকে আক্রমণ করা হলেও রাজ্যসভা কিংবা লোকসভার ভাষণেও আদানি ইস্যুতে একটিও শব্দও খরচ করতে দেখা যায়নি প্রধানমন্ত্রীকে। তবে এবার আদানি বিতর্কে মুখ খুললেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ আদানি ইস্যুতে জানান, ‘একটি একটি বিচারাধীন বিষয়। আদানি ইস্যু বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন। তাই এই নিয়ে আমি কোনও মন্তব্য করব না।‘ পাশাপাশি শাহ এও দাবি করেন, ‘তবে আমি এটুকু বলতে পারি বিজেপির কিছু লোকানোর নেই অথবা ভয় পাওয়ার নেই।’
প্রসঙ্গত, সংসদে আদানির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ছবি দেখিয়ে গুরুতর অভিযোগ তুলে সরব হন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধি। গোটা বাজেট অধিবেশনে এই বিতর্কে কেন্দ্রের তরফে আলোচনা চেয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শনও করেন বিরোধী সাংসদরা। এর আগেও কংগ্রেসের তরফে বিজেপির বিরুদ্ধে আদানিদের সাহায্য পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ তোলা হয়। তবে সব অভিযোগেই ফুৎকারে উড়িয়ে দিতে দেখা যায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে।
উল্লেখ্য, গত ২৪ জানুয়ারি মার্কিন শর্ট-সেলার হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ গৌতম আদানির সংস্থার উপর একটি রিপোর্ট প্রকাশ করে। তাতে আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে শেয়ার কারচুপি, বিপুল অঙ্কের ঝুঁকিপূর্ণ ঋণের অভিযোগ তোলা হয়। সেই রিপোর্ট প্রকাশের পর থেকে দ্রুত হারে নেমে গিয়েছে আদানি গোষ্ঠীর ৭টি সংস্থার শেয়ার। আদানি গোষ্ঠীর শেয়ারে বিনিয়োগ রয়েছে এলআইসির মতো রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা, এসবিআই-এর মতো রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাঙ্কের। অন্যদিকে, আদানিকাণ্ডে এর আগেই সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপ চেয়ে আবেদন জানানো হয়েছিল। সেই আবেদনের শুনানিতে গত শনিবার প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় জানিয়েছিলেন, এমন অবস্থার পুনরাবৃত্তি যাতে না ঘটে, তার জন্য যাবতীয় ব্যবস্থা করা হবে। নীতিগত বিষয়গুলি নিয়ে যদিও সুপ্রিম কোর্ট হস্তক্ষেপ করবে না বলেও জানিয়ে দেন প্রধান বিচারপতি। একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গড়ে আদানি ইস্যুতে তদন্তের পরামর্শও দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত।