একসঙ্গে আর নয়, দুবাই যাত্রায় বহু পুরোনো রীতি ভাঙছে ইন্ডিয়ার তারকারা !

এশিয়া কাপকে ঘিরে ভারতীয় ক্রিকেট দলে উত্তেজনার পারদ চড়ছে। সামনেই মরসুমের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এই টুর্নামেন্ট, যেখানে ভারতের প্রথম বড় চ্যালেঞ্জ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে। তবে এ বার প্রস্তুতি এবং সফরসূচিতে দেখা গিয়েছে কিছুটা ভিন্নতা। সাধারণত, বিদেশের মাটিতে কোনও টুর্নামেন্টে অংশ নিতে গেলে ভারতীয় দল একসঙ্গে বিমানে চড়ে যায়। কিন্তু এবারের এশিয়া কাপে সেটি হচ্ছে না। খেলোয়াড়দের সুবিধার কথা ভেবেই আলাদা আলাদা শহর থেকে দুবাই পৌঁছনোর অনুমতি দিয়েছে বিসিসিআই। বোর্ডের এক কর্তা জানিয়েছেন, ৪ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যার মধ্যেই সমস্ত ক্রিকেটার দুবাইয়ে পৌঁছে যাবেন। এরপর ৫ সেপ্টেম্বর থেকে ৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলবে চার দিনের প্রস্তুতি শিবির। স্থান হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে আইসিসি অ্যাকাডেমি। প্রস্তুতি সেরে ১০ সেপ্টেম্বর ভারত মুখোমুখি হবে সংযুক্ত আরব আমিরশাহির বিরুদ্ধে। তারপর ১৪ সেপ্টেম্বর মহারণে নামবে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের সঙ্গে। ১৯ সেপ্টেম্বর ওমানের বিপক্ষে তৃতীয় ম্যাচ খেলবে মেন ইন ব্লু। এশিয়া কাপের দলে নির্বাচনের পর থেকেই একরাশ বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। অনেকেই প্রশ্ন তুলেছিলেন বাদ পড়া খেলোয়াড়দের নিয়ে। তবুও রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলিরা সব ভুলে মাঠে সেরা পারফরম্যান্স দিতেই চাইবেন। এদিকে শুভমান গিল কিছুদিন আগে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। কিন্তু শারীরিক সমস্যার পরও বেঙ্গালুরুতে অনুশীলন করেছেন এবং দুবাইয়ে দলের সঙ্গে যোগ দেওয়ার জন্য প্রস্তুত। যদিও মূল দলের ১৫ জন ক্রিকেটার দুবাই পাড়ি দিচ্ছেন, কিন্তু পাঁচ জন স্ট্যান্ডবাই ক্রিকেটার থাকছেন ভারতে। তাঁরা হলেন—যশস্বী জয়সওয়াল, প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ, ওয়াশিংটন সুন্দর, রিয়ান পরাগ এবং ধ্রুব জুরেল। যেহেতু দুবাই ভারতের কাছাকাছি, তাই জরুরি পরিস্থিতি তৈরি হলে খুব দ্রুতই স্ট্যান্ডবাই খেলোয়াড়দের ডেকে পাঠানো সম্ভব হবে। এই কারণেই মূল দলের সঙ্গে তাঁদের না পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিসিসিআই। দল আলাদা আলাদা করে গেলেও বোর্ডের দাবি, এতে কোনও অসুবিধা হবে না। বরং ক্রিকেটাররা নিজেদের শহর থেকে যাত্রা করলে সময় এবং পরিশ্রম দুইই বাঁচবে। পাশাপাশি যাতায়াতের চাপও কম পড়বে। মূল উদ্দেশ্য হল খেলোয়াড়দের সুবিধা দেওয়া, যাতে তাঁরা ফুরফুরে মন নিয়ে টুর্নামেন্ট শুরু করতে পারেন। এশিয়া কাপ সব সময়েই ভারত-পাকিস্তান ম্যাচকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায়। এ বারও তার ব্যতিক্রম হবে না। তাই প্রথম ম্যাচে সংযুক্ত আরব আমিরশাহির বিরুদ্ধে নামলেও সমর্থকদের চোখ থাকবে ১৪ সেপ্টেম্বরের লড়াইয়ের দিকে। এই ম্যাচের ফলাফলই ভারতের টুর্নামেন্টের ভবিষ্যৎ দিক অনেকটাই নির্ধারণ করবে। সব মিলিয়ে, এশিয়া কাপের জন্য ভারতের সফরসূচি এবং প্রস্তুতির কৌশল এবার একটু অন্য রকম হলেও লক্ষ্য একটাই—দুবাই থেকে ট্রফি নিয়ে ফেরা। এখন দেখার বিষয়, রোহিতদের এই পরিকল্পনা মাঠে কতটা কাজে দেয় এবং ভারতীয় দল সমর্থকদের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারে কি না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

20 − 15 =