‘হ্যান্ডবল নয়’, ডার্বির বিতর্ক উস্কে দিলেন চিফ রেফারিং অফিসার

বিতর্ক উস্কে দিলেন ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের চিফ রেফারিং অফিসার। ইস্টবেঙ্গলের পেনাল্টির দাবি ন্যায্য নয়। গুয়াহাটিতে বড় ম্যাচে প্রথমার্ধের শেষ লগ্নে মোহনবাগানের বক্সে ইস্টবেঙ্গলের বিষ্ণুর শট আপুইয়ার হাতে লাগলেও তা পেনাল্টি নয়। ডার্বির রেফারি ভেঙ্কটশের সিদ্ধান্তকেই শিলমোহর দিলেন চিফ রেফারিং অফিসার ট্রেভর কেটল। ভারতীয় ফুটবলে রেফারিং ইস্যুতে তোলপাড় শুরু হয়েছে। আইএসএলে একাধিক ম্যাচে খারাপ রেফারিংয়ের অভিযোগ উঠেছে। রেফারিং নিয়ে ইস্টবেঙ্গলের পাশাপাশি প্রশ্ন তুলেছে পঞ্জাব এফসিও। যদিও রেফারিদের পাশেই দাঁড়াচ্ছেন ট্রেভর কেটল।

ডার্বিতে ইস্টবেঙ্গলের ন্যায্য পেনাল্টি বাতিলে ক্ষোভ উগড়ে দেন একাধিক প্রাক্তন ফুটবলার। এমনকি ম্যাচের ধারাভাষ্যকারও রেফারির সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানান। যদিও সেসব অভিযোগ উড়িয়ে দিলেন ট্রেভর কেটল। সাংবাদিক সম্মেলনে বসে তিনি বললেন, ‘ডার্বিতে ওটা হ্যান্ডবল ছিল না। ম্যাচের পর আমাদের ৫ সদস্য ওই ফুটেজ খতিয়ে দেখে। তাতে প্রত্যেকেই এই সিদ্ধান্তে এসে পৌঁছয় যে ওটা কোনওমতেই হ্যান্ডবল ছিল না। আমিও যদি ম্যাচে রেফারির জায়গায় থাকতাম, তাহলে দেখতাম ওই ফুটবলারের হাতের পজিশন কোন জায়গায় আছে। তাতে দেখা গেছে মোহনবাগানের ওই ফুটবলারের হাত সঠিক জায়গাতেই ছিল। ফুটবলারের কোনও মুভমেন্ট হয়নি। সাধারণত রেফারিদের এই বিষয়টা অনেক বিচক্ষণতার সঙ্গে দেখতে হয়। এমনিতেও বিশ্ব ফুটবলে হ্যান্ডবল নিয়ে সবার মধ্যে একটা ভ্রান্ত ধারণা আছে।’

অন্যান্য ম্যাচেও রেফারিদের বেশ কিছু সিদ্ধান্ত প্রশ্নের মুখে এসেছে। যা নিয়ে ট্রেভর কেটলের মন্তব্য, ‘ফুটবলাররাও তাদের দীর্ঘ অভিজ্ঞতা থাকা সত্ত্বেও ভুল করে। আমার কাছে ১৫ জনের রেফারির প্যানেল আছে। ১১৯ ম্যাচ পরিচালনা করতে হবে। প্রত্যেক ম্যাচে ৮ জন অফিসিয়াল দরকার। তবে এটাই যথেষ্ট নয়। আরও ম্যাচ প্রয়োজন। রেফারিদের মান অনুযায়ী তাদের ম্যাচ পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয়। তাতেও যদি কেউ ভুল করে, সরাসরি তাকে বাদ দেওয়া হয়। এখন যে কোনও বিতর্কিত সিদ্ধান্ত দেখার জন্য ৫ জনের প্রাক্তন ফিফা রেফারির কমিটি তৈরি করা হয়েছে। আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই ৮০ শতাংশের বেশি সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রেফারিরা। গত বছর সাকসেস রেট ছিল ৮৫ শতাংশ। এবছর এখনও পর্যন্ত ৮২.৫ শতাংশ সাকসেস রেট রয়েছে। আই লিগে ৮৫ শতাংশ সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেফারিরা।’

প্রশ্ন হচ্ছে, এত কিছুর পরও ভারতীয় ফুটবলে ‘ভার’ আনা হচ্ছে না কেন? ট্রেভরের উত্তর, ‘২০২৩ সালের ডিসেম্বরে ভারের খরচ সম্পর্কে আমার কাছে জানতে চাওয়া হয়। গত বছর মার্চে ফেডারেশনের এজিএমে তা আমি জমা দিই। তাতে ফেডারেশন এই সিদ্ধান্তে পৌঁছয়, তাদের একার পক্ষে এই খরচ সামলানো সম্ভব নয়।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

three × 2 =