হুগলি: আশা ছিল কলকাতায় শহিদ দিবস পালনে সামিল হবেন এবং নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মূল্যবান বক্তব্য ও আগামী দিনে কিভাবে চলবে তৃণমূল কর্মীরা সেই বিষয়ে বার্তা শুনবেন। কিন্তু কলকাতায় না যেতে পেরে জমিয়ে হাইওয়ের ধারে মাংস ভাত খেয়ে পিকনিক সারলেন বর্ধমান, বাঁকুড়া, মালদা থেকে আসা তৃণমূল কর্মীরা। পাশাপাশি তৃণমূলের উচ্চ পদে থাকা এবং দাপুটে তৃণমূল নেতাদের আবার হাইওয়ের ধারে গড়ে ওঠা ভালো হোটেলে বসে জমিয়ে খাওয়া দাওয়া করে বাড়ি ফিরলেন। যে দলের জন্য কলকাতার উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন তা না করে পিকনিক করে আনন্দ করে বাড়ি ফিরলেন এই সমস্ত তৃণমূল কর্মীরা। এই দৃশ্য দেখা গেলো হুগলি জেলার ডানকুনি এলাকার দুর্গাপুর হাইওয়ের ধারে। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই অস্বস্তিতে পড়ে তৃণমূল কংগ্রেস। এই বিষয়ে বর্ধমানের সেয়ারা বাজার থেকে আগত জয়ন্ত মাঝি নামে এক তৃণমূল কর্মী বলেন, আমরা ঢুকতে পারিনি তাই এখানে খাওয়া দাওয়া করছি। আপশোস রয়েছে। পটল আলুর তরকারি, মাংস ও ভাত হয়েছে। ৩০ জন লোককে খাওয়ানো হবে বলে জানান তিনি। পাশাপাশি বাঁকুড়ার বড়জোড়া থেকে আসা অপর এক তৃণমূল নেতা বলেন, ধর্মতলায় যাবার জন্য এসেছিলেন। আমাদের কয়েক জন লোক গিয়েছে। কিন্তু ভিড়ের জন্য যেতে পারিনি। তাই রান্না করছি। অপরদিকে বর্ধমান থেকে আসা এক তৃণমূল নেতা হাইওয়ের ধারে হোটেলে খেতে বসে বলেন, ১১ টা নাগাদ দমদম পর্যন্ত গিয়ে ছিলাম। কিন্তু যেতে না পেরে ফিরে আসি। আপশোস রয়েছে। তবে শহিদ দিবসে পিকনিকের আসর বসায় বিরোধীরাও তীব্র সমালোচনা করেন। এই বিষয়ে আরামবাগের বিজেপি নেতা সুশান্ত বেরা জানান, শহিদ দিবসের নামে সেলিব্রেশন করছে তৃণমূল। শহিদ স্মরণ না করে মাছ, মাংস রান্না করে খেয়েছে তারা। শহিদ বেদী তৈরি হলেও তাকে সম্মান না জানিয়ে পাগলু ড্যান্স আগে হয়েছে। আসলে এটা ক্ষমতার আস্ফালন দেখানো। সবমিলিয়ে উৎসবের মেজাজে ২১ জুলাই পালন তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের।