ফের ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়ল উত্তর কোরিয়া (North Korea)। দক্ষিণ কোরিয়ার সেনার তরফে এমনটাই দাবি জানানো হয়েছে। বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার কিমের দেশ জাপান সাগরে একটি ‘অজানা ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র’ ছুঁড়েছে। আগেই আমেরিকা ও তার সঙ্গী দেশগুলিকে ‘শিক্ষা’ দেওয়ার হুমকি দিয়েছিল উত্তর কোরিয়া। তারপরই নতুন করে ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়তে দেখা গেল তাদের।
সম্প্রতি জি-২০ সম্মেলনের ফাঁকেই চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন (Joe Biden)। সেখানে উত্তর কোরিয়ার সম্প্রতি ক্ষেপণাস্ত্র ছোঁড়ার বিষয়টি নিয়ে দুই রাষ্ট্রনেতার মধ্যে কথা হয় বলে জানা গিয়েছে। সেই বৈঠকে নাকি বাইডেন বেজিংকে চাপ দিয়েছেন, কিমের দেশের এই বারংবার ক্ষেপণাস্ত্র ছোঁড়া আটকাতে তারা তাদের প্রভাব খাটাক। কেবল চিনই নয়, গত রবিবার দক্ষিণ কোরিয়া, জাপানের সঙ্গেও বৈঠক করতে দেখা গিয়েছে বাইডেনকে। হোয়াইট হাউসের তরফে একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, উত্তর কোরিয়ার ‘বেআইনি গণঘাতক অস্ত্র ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা’ রুখতে আলোচনা হয়েছিল বৈঠকে। এরপরই ফের ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়তে দেখা গেল উত্তর কোরিয়াকে।
গত দু’মাস ধরে ধারাবাহিক ভাবে ক্রুজ এবং ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা করছে কিম জংয়ের দেশ। তাদের ব্যাখ্যা পরমাণু হামলার ক্ষমতা যাচাইয়ের উদ্দেশ্যেই এই পদক্ষেপ। ঘটনাচক্রে, বৃহস্পতিবার সকালে উত্তর কোরিয়ার বিদেশমন্ত্রী চো সন হুই আমেরিকা-জাপান-দক্ষিণ কোরিয়া ত্রিপাক্ষিক বৈঠকের নিন্দা করেছিলেন। তার দু’ঘণ্টার মধ্যেই হয় ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা।
বিশ্লেষকদের মতে, দুই কোরিয়ার মধ্যে যেভাবে উত্তেজনা বাড়ছে তাতে ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে আরও একটি সংঘাতের সম্মুখীন হতে চলেছে বিশ্ব। এবং তেমনটা হলে এই লড়াইয়ে জড়িয়ে যাবে আমেরিকা, চিন ও রাশিয়ার মতো দেশগুলি। ফলে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের দামামা বাজতে বেশি দেরি হবে না।