ছুটি নেই? প্রেম দিবস উদযাপন হোক বাড়িতেই

প্রেম দিবস। শুনেই কেউ কেউ বলেন, যত্তোসব। প্রেম যেন একদিনের। বয়স্কদের কথায়, আমাদের কালে এসব তো ছিল না, তা বলে সংসার হয়নি নাকি!

প্রেম একদিনের নয়, চিরন্তন ঠিকই। কিন্ত একবার ভাবুন তো প্রতিদিনের সংসার জীবনের নিত্য প্রয়োজনে, প্রয়োজন ছাড়া একে-অন্যকে কিছু বলা হয় কী? কিম্বা প্রেমের সম্পর্কেও চাকরি, কাজকর্ম জীবনের নানা ঝক্কির মাঝে কী ভালোবাসার কথাগুলো ভীষণ হারিয়ে যায় না।

তাই হোক না একটা দিন প্রেমের নতুন পরশ খুঁজে নেওয়ার, হোক না বহু দিন আগে হাত-হাত ধরে বলা কথাগুলোর রিপিটেশন। তাতে হয়তো আলগা হতে থাকা সম্পর্ক নতুন অক্সিজেন পাবে।

কিন্তু উদযাপন যে করবেন, ভ্যালেন্টাইনসের ডের ছুটি হয় নাকি! অফিস থেকে ফিরতে রাত, কিম্বা প্রেমিক-প্রেমিকা হন বা স্বামী-স্ত্রী দুজনেই চাকরিরতা বা কর্মব্যস্ত। দিনের শেষে রেস্তোরাঁর ভিড় ঠেলা সম্ভব না হলে, ঘরেই সেরে ফেলুন না ক্যান্ডেল লাইট ডিনার।

কীভাবে সাজাবেন ভ্যালেন্টাইনস ডের গৃহকোণ?

বদলে ফেলুন কুশন-

সময় কম। তাই প্রথমেই ঘরের আনাচ-কানাচে এলোমেলো জিনিসগুলো কোথাও একটা সরিয়ে দিন।ভালোবাসার রং লাল ঠিকই, তবে দুজনের পছন্দের রং অন্য হলে প্রাধান্য পেতে পারে সেটাও। শোফার কুশন বদলে ফেলুন। ডাইনিং টেবিলে পছন্দের কোনও ক্লথ সাজিয়ে ফেলুন।

হার্ট শেপ– ঘর সাজাতে হার্ট শেপের বিভিন্ন রকমের জিনিস যেমন রিথ ব্যবহার করতে পারেন। ব্যবহার করতে পারেন অন্য ডেকোরেশনও। যতটা সময়, হাতের কাছে যা আছে তাই দিয়ে ঝটপট নিজের মতো সাজিয়ে নিন।

ফুলদানিতে টাটকা ফুল, টেবিলে মোমের আলো-আর হ্যাঁ, অফিস ফেরত টাটকা ফুল আনতে ভুলবেন না। গোলাপ না পেলে কোই বাত নেহি। অন্য ফুলেও হবে। ঝটপট ফুলদানিগুলো ফুল দিয়ে সাজিয়ে ফেলুন। আর ডাইনিং টেবিলে বা শোফার টেবিলে কাচের পাত্রে ফুলের পাপড়ি ছড়িয়ে মোমবাতি ভাসিয়ে দিন। ফ্লোটিং ক্যান্ডেল এখন হাতের কাছেই পাওয়া যায়।

খাবার- ভালোবাসার সঙ্গে পেটপুজোও তো জুড়ে। তাই খাওয়াটা একদম নিজেদের পছন্দে।রান্নার করার সুযোগ থাকলে বিশেষ পদ বানান। না হলে সুইগি, জোমাটো আছে। তবে পার্সোনাল টাচ দিতে চাইলে হার্ট শেপের লুচি, পাঁঠার মাংস কসা বানিয়ে ফেলতে পারেন। প্রয়োজনে কন্টিনেন্টাল কিছু।

নতুন ডিনার সেট- যে সমস্ত ডিনার সেট তুলে রেখেছেন অতিথি এলে ব্যবহার করবেন বলে সেটাই বের করুন। সুন্দরকরে খাবার সাজিয়ে রাখুন। সুন্দর টেবিল ক্লথ, ডিনার সেট, ফুলের ছোঁয়া আর মোমবাতির আলোয় নিজের বাড়ির পরিবেশ, ডিনার টেবিলটাই দেখবেন অন্যরকম হয়ে গিয়েছে।

ড্রিংক-হার্ড ড্রিংকে আপত্তি না থাকলে অফিস ফেরত বরং ওয়াইন বটল বা পছন্দের ব্যান্ডের পানীয় কিছু কিনে আনুন। হার্ড ড্রিংক না চাইলে সফট ড্রিংকও চলতে পারে। মোট কথা কিছুটা সময় নিজেদের বাড়িতে নিজেদের মনের মতো করে কাটান। বলে ফেলুন মনে থাকা সব কথা। একটা দিন না হয় ঘটা করে প্রেম দিবস পালনই করুন না। দেখবেন জীবনটা সুন্দর লাগবে।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

three × five =