সন্দেশখালি নিয়ে প্রিয়াঙ্কার আর্জিতে ‘না’ হাইকোর্টের, সিবিআই-য়ের দ্বারস্থ হতে পরামর্শ

সন্দেশখালিতে বিজেপি নেতা গঙ্গাধর কয়ালের স্টিং ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে। যেখানে তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে স¨েশখালির নারী নির্যাতনের ঘটনা ভুয়ো। যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা ‘একদিন’ সংবাদ পত্র যাচাই করেনি। এরপরেও সন্দেশখালি নতুন একটি ভিডিয়ো ঘিরে তরজা শুরু হয়েছে। যে ভিডিয়োতে আন্দোলনকারী হিসেবে রাষ্ট্রপতির কাছে কাদের নিয়ে যাওয়া হয়েছিল তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন সন্দেশখালির বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্র। ভাইরাল ভিডিয়ো, অভিযোগ- পাল্টা অভিযোগ ঘিরে স¨েশখালিতে নারী নির্যাতনের কোন অভিযোগ কতটা সত্য তা নিয়ে জনমানসে ধন্দ্ব তৈরি হয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে ধর্ষণের মামলা তুলতে সন্দেশখালির মহিলাদের উপর জোর খাটাচ্ছে তৃণমূল, এমনটাই অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন বিজেপি কর্মী এবং আইনজীবী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল। মামলার জরুরি ভিত্তিতে শুনানির আর্জি খারিজ করে করে দিল হাইকোর্ট।
প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্যের বেঞ্চ জানিয়েছে, এই মামলার তদন্ত করছে সিবিআই। প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়ালকে সিবিআইয়ের দ্বারস্থ হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তাঁরা। প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘ম্যাডাম, আমরা তদন্তকারী সংস্থা নই। বিষয়টি সিবিআই তদন্ত করছে, তাই দয়া করে সিবিআইয়ের কাছে গিয়ে আপনার সমস্যাগুলি জানান, আমাদের কাছে নয়।’
প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল হাইকোর্টে জানিয়েছিলেন, বর্তমানে চাপে পড়ে পথে নেমেছেন সন্দেশখালির মহিলারা। রাত জেগে একসঙ্গে পাহারা দিচ্ছেন। এই চাপ দেওয়ার ঘটনা পুলিশ করছে, না কোনও রাজনৈতিক কর্মী করছে, সেটা বোঝা যাচ্ছে না। রাস্তায় কোনও আলো নেই। সিসিটিভিও ঠিকভাবে কাজ করছে না। মামলার যাতে দ্রুত শুনানি হয়, সেই আবেদন জানান তিনি। কিন্তু হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ জানিয়ে দিয়েছে, যেহেতু বর্তমানে সিবিআই তদন্ত করছে, তাই বিষয়টি নিয়ে সিবিআইয়ের কাছেই আবেদন জানাতে হবে।
উল্লেখ্য, গত কয়েকদিন ধরে সন্দেশখালির পরিস্থিতি নতুন মোড় নিয়েছে। গ্রামবাসীদের অভিযোগ প্রত্যাহারের জন্য চাপ দেওয়ার অভিযোগ উঠে এসেছে। উদ্ভূত সেই পরিস্থিতির মাঝেই রাতে গ্রামের মহিলাদের ঝাঁটা হাতে রাস্তায় নামতে দেখা গিয়েছিল। একেবারে রাত-পাহারায় বসে পড়েছিলেন মহিলারা। এরপর বুধবার প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল সন্দেশখালিতে নিজে যান স্থানীয় মহিলাদের সঙ্গে কথা বলতে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

five × 1 =