কেন্দ্রের পাঠানো ২ লক্ষ ৩০ হাজার কোটি টাকার হিসেব নিয়ে উঠল প্রশ্ন। কীভাবে সেই টাকা খরচ হয়েছে তা জানতে কি এবার রাজ্যকে সরাসরি সময় বেঁধে দিয়ে রিপোর্ট চাইবে আদালত তা নিয়ে এবার শুরু হল জল্পনা। অন্যদিকে, আদালত নির্দেশ দিলে আর্থিক অনিয়ম হয়েছে কি না তার তদন্ত করতে সিবিআই প্রস্তুত বলে জানান কেন্দ্রের অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল।
কারণ, কেন্দ্রের পাঠানো টাকায় আর্থিক অনিয়ম হয়েছে বলে অভিযোগ তুলে কলকাতা হাই কোর্টে এক জনস্বার্থ মামলা করেন বিজেপি নেতা জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়-সহ আরও তিনজন। এই জনস্বার্থ মামলা করার পাশাপাশি তাঁরা সিবিআই তদন্তের দাবিও জানান। মামলকারীদের অভিযোগ ছিল, প্রায় ২ লক্ষ ৩০ হাজার কোটি টাকার হিসেব দিতে পারছে না রাজ্য সরকার। বলা হয়েছে, ২০২১ সালের ৩১ মার্চ ক্যাগের রিপোর্টে ওই অসঙ্গতির কথা রয়েছে। রাজ্যের বিভিন্ন প্রকল্পে কেন্দ্রীয় সরকারের পাঠানো টাকার নয়ছয় হয়েছেও বলে দাবি করা হয়।
এদিন ছিল এই মামলার শুনানি। এদিকে রাজ্যের তরফ থেকে আগেই বলা হয়েছিল, ক্যাগের রিপোর্ট রাজ্যপালের কাছে যায়। সেখান থেকে যায় বিধানসভায়। তারপর তা নিয়ে আলোচনা হয় পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটি বা পিএসি-তে। খরচ নিয়ে সেখানেই এখন বিষয়টি আলোচনার স্তরে রয়েছে। ফলে এ নিয়ে আদালত হস্তক্ষেপ করতে পারে না বলে দাবি রাজ্যের।
এদিকে মঙ্গলবার এই মামলায় রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় সওয়াল করতে গিয়ে জানান, ২০১১ সালের আগেরও রিপোর্ট নেই। এই প্রসঙ্গে বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ প্রশ্ন তোলেন, ২০১১ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত কেন প্রকাশ করা হয়নি রিপোর্ট তা নিয়ে। একইসঙ্গে প্রশ্ন তোলেন, এই বিপুল পরিমাণ অর্থ খরচ কী ভাবে হয়েছে তা নিয়েও। একইসঙ্গে জানতে চাওয়া হয়েছে, পিএসি-র এ নিয়ে কী সিদ্ধান্ত সে ব্যাপারেও।
প্রত্যুত্তরে এজি জানান, ‘এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিধানসভার দায়িত্ব প্রশ্ন ওঠে। এমতাবস্থায় আদালত চাইলে বিধানসভাকে মামলায় যুক্ত করতে পারে।’ শুধু তাই নয়, এই জনস্বার্থ মামলাটির গ্রহণযোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। তবে একাধিক দুর্নীতির মামলায় ইতিমধ্যেই অস্বস্তিতে রাজ্য সরকার। এরই মধ্যে এই মামলা বোঝার ওপর শাকের আঁটি হয়ে দাঁড়াল কিনা এখন সেটাই প্রশ্ন।