কলকতা: ‘ওপর থেকে কেউ এসে জিতিয়ে দেব না। সংগঠন এবং মানুষের পাশে থেকেই নির্বাচনে জয়ী হতে হবে।’ বঙ্গ সফরে এসে দলীয় বৈঠকে রাজ্যের বিজেপি নেতৃত্বকে এমনটাই পরামর্শ দিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। মঙ্গলবার বিজেপি শীর্ষনেতৃত্ব বিজেপি নাড্ডাকে স্বাগত জানাতে কলকাতা বিমানবন্দের উপস্থিত ছিলেন, অসংখ্য বিজেপি কর্মী সমর্থকও দলীয় পতাকা নিয়ে নাড্ডাকে অভ্যর্থনা জানাতে সেখানে জড়ো হয়েছিলেন। বিমানবন্দর থেকে নিউটাউনের পাঁচতারা হোটেলে উঠেছিলেন বিজেপি সভাপতি। সেখানে বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, সর্ব-ভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক, সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়, অমিত মালব্যের মতো বিজেপি নেতৃত্ব সেখানে উপস্থিত ছিলেন। সেখানে বিজেপি সভাপতির শীর্ষ বিজেপি নেতৃত্বের বৈঠক হয়েছিল। মঙ্গলবারের ওই বৈঠকে বিজেপি নেতৃত্বের উদ্দেশে তাৎপর্যপূর্ণ বার্তা দিয়েছেন জেপি নাড্ডা। তিনি বলেন, “মানুষের সঙ্গে থাকতে হবে, তাদের পাশে থাকতে হবে। এত সহজের লড়াইয়ের রাস্তা থেকে সরে গেলে হবে না। ওপর থেকে এসে কেউ নির্বাচনে জিতিয়ে দেবে না, সংগঠন এবং মানুষের পাশে থেকেই নির্বাচনে জয়ী হতে হবে।”
আগামী বছরই রাজ্যে ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচন। গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জর্জরিত রাজ্য বিজেপিকে নিয়ে যথেষ্ট সমস্যা রয়েছে। মঙ্গলবারে বৈঠকে বিজেপি নেতৃত্বকে আগাম পঞ্চায়েত ভোটের প্রস্তুতি নেওয়ার বার্তা দিয়েছেন নাড্ডা।বিজেপির কেন্দ্রীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার ২ দিনের বাংলা সফর বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে যে বিজেপি ২০০ আসন জয়ের স্বপ্ন দেখেছিল, ফল প্রকাশের পর তাদের সেই স্বপ্ন চুরমার হয়ে গিয়েছিল। এমনকী তিন অঙ্কের আসন সংখ্যাতেও পৌঁছতে পারেনি গেরুয়া শিবির। বিধানসভা ভোটের পর থেকে একের পর বিজেপি নেতা- বিধায়ক তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন। সম্প্রতি ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিংও বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলের ফিরে এসেছেন। আরও কয়েকজন বিজেপি সাংসদ-বিধায়ক দলত্যাগ করতে পারে, রাজ্য রাজনীতিতে এই জল্পনাই চলছে। সেই আবহেই রাজ্য সফরে এসেছেন নাড্ডা। বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মসূচির পাশাপাশি নৈহাটিতে বঙ্কিমচন্দ্রের বাড়ি, বেলুড় মঠেও যাওয়ার কথা রয়েছে বিজেপি সভাপতির। জেপি নাড্ডার সফরের পর বিজেপির দলীয় কোন্দল নিয়ন্ত্রণে আসে কি না, সেটাই এখন দেখার।