গঙ্গাধরের বিরুদ্ধে এখনই তদন্ত নয়, জানাল হাইকোর্ট

সন্দেশখালিতে মহিলা নির্যাতনের অভিযোগ সাজানো। টাকার বিনিময়ে মহিলারা ধর্ষণ ও নির্যাতনের অভিযোগ দায়ের করেছেন। ভাইরাল হওয়া স্টিং অপারেশনের একটি ভিডিয়োতে এমনটাই বলতে শোনা গিয়েছিল সন্দেশখালির বিজেপি নেতা গঙ্গাধর কয়ালকে। সেই ভিডিয়োকে কেন্দ্র করে গঙ্গাধরের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেন স্থানীয় বাসিন্দা শক্তিপদ রাউত। একাধিক জামিন অযোগ্য মামলায় এফআইআর হয় বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে। ওই এফআইআরের উপর রক্ষাকবচ চেয়ে হাই কোর্টে মামলা করেন গঙ্গাধর। তাঁর হয়ে মঙ্গলবার হাই কোর্টে সওয়াল করেন আইনজীবী জয়দীপ কর এবং বিল্বদল ভট্টাচার্য।

তাতেই মিলল স্বস্তি। গঙ্গাধর কয়ালের বিরুদ্ধে এখনই কোনও তদন্ত এগোবে না জানাল হাইকোর্ট। এফআইআরের উপর কোনও কড়া পদক্ষেপ করা হবে না বলে মৌখিক নির্দেশ আদালতের। মঙ্গলবার এই মামলার শুনানি পিছিয়ে দিয়েছেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। আগামী শুক্রবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি।

মঙ্গলবার বিচারপতি সেনগুপ্ত জানান, সন্দেশখালি মামলার তদন্ত প্রধান বিচারপতি ডিভিশন বেঞ্চের নজরদারিতে চলছে। সিবিআই তদন্ত করছে। এই আবেদনেরও শুনানি প্রধান বিচারপতি বেঞ্চে হওয়া উচিত। বিচারপতির মন্তব্য, ‘মিথ্যা মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে। আর তাতে থানায় এফআইআর রুজু করা হল কিসের ভিত্তিতে? ম্যাজিস্ট্রেটের অনুমতি সাপেক্ষে এই এফআইআর করার সিদ্ধান্ত হওয়া উচিত ছিল।’

যদিও সন্দেশখালি কাণ্ডে গঙ্গাধর কয়ালের যে স্টিং ভিডিয়ো নিয়ে শোরগোল তা ভুয়ো বলেই শুরু থেকে দাবি করেছে ওই বিজেপি নেতা। তাঁর অভিযোগ, ভিডিয়োতে তাঁর ছবি ব্যবহার করে তা ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এর বিরুদ্ধে হাই কোর্টে মামলার অনুমতি চেয়েছিলেন গঙ্গাধর। সেই অনুমতি দিয়েছে বিচারপতি সেনগুপ্তের বেঞ্চ। সোমবার সেই মামলার শুনানি চলাকালীন রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত বলেন, পুরো ঘটনায় সুপ্রিম কোর্টের নজরদারিতে তদন্ত চেয়ে আবেদন করেছেন সন্দেশখালির এক মহিলা। গঙ্গাধরের বিষয়টিও সেখানেই তোলা হবে। তবে সোমবার সুপ্রিম কোর্টের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চ ব্যস্ত থাকায় বিষয়টি তোলা হয়নি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

two × 5 =