বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের জামিনের আবেদন খারিজ। ফের সিবিআই (CBI) হেপাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। আরও ৪ দিন সিবিআই হেপাজতে থাকবেন কেষ্ট। শনিবার আসানসোলের বিশেষ আদালতে অনুব্রতকে পেশ করে সিবিআই। তাঁকে ফের হেফাজতে চায় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। এর পর বিচারক ৪ দিনের সিবিআই হেপাজতের নির্দেশ দেন। শনিবার দুপুরে অনুব্রতকে নিয়ে আসানসোল বিশেষ আদালতে তোলা হয় অনুব্রতকে। সেখানে তাঁর জামিনের পক্ষে সওয়াল করেন অনুব্রতর আইনজীবীরা। তাঁরা যুক্তি দেন যে, অনুব্রতর বয়স ৬৫ পেরিয়েছে। তিনি অসুস্থ। হার্টের সমস্যা রয়েছে। এসএসকেএম-এ নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা কারনো উচিত তাঁর। তিনি তদন্তে সবরকম সহযোগিতা করবেন। আদালতে অনুব্রতর ডাক্তারি পরীক্ষার রিপোর্টও জমা দেন তাঁর আইনজীবীরা। কিন্তু তার বিরোধিতা করে সিবিআই। আরও চারদিন অনুব্রতকে হেপাজতে রাখার পক্ষে সওয়াল করে তারা।
এদিন আদালতে কেস ডায়েরি জমা দেয় সিবিআই। এ যাবৎ অনুব্রতর বিরুদ্ধে তদন্তে যে যে তথ্য সামনে এসেছে, তা লিপিবদ্ধ করা হয় ওই ডায়েরিতে। আদালতে সিবিআই জানায়, বার বার তলব করা হত্ত্বেও হাজিরা এড়িয়েছেন অনুব্রত। সীমান্তে আটক করা গরুর বেআইনি নিলামের টাকা যেত অনুব্রতর কাছে। পাচারে সাহায্য করার জন্যও টাকা নিতেন অনুব্রত। নিলামের সময় গরুর দামে হেরফের ঘটনো হত। তার সুবিধা নিতেন অনেকেই। অসহযোগিতার কথা বলে এ দিন ফের অনুব্রতর চার দিনের হেপাজত চায় সিবিআই। অন্য দিকে অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে তৃণমূল নেতার জামিন চান তাঁর আইনজীবীরা। সিবিআই সূত্রে দাবি, ঘনিষ্ঠদের নামে অনুব্রতর প্রচুর বেনামি সম্পত্তি রয়েছে। এছাড়াও, অনুব্রত ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের নামে প্রায় ১৭ কোটি টাকার ফিক্সড ডিপোজিট ছাড়াও রয়েছে ফার্ম হাউস, জমি, রাইস মিল।
এদিন আদালতে তোলার আগেই প্রকৃতির ডাকে অস্থির হয়ে পড়েন তিনি, সূত্রের খবর এমনটাই। জানা গিয়েছে, অনুব্রত মণ্ডলের ‘অস্থিরতা’-র কারণ জানার পরেই তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় ইসিএলের সাতগ্রাম এরিয়ার ট্রানজিট হাউসে। সেখানেই প্রকৃতির ডাকে সাড়া দেন কেষ্ট। এরপর তাঁকে নিয়ে ফের আদালতের উদ্দেশ্যে রওনা দেন সিবিআই আধিকারিকরা।