সোমবার রাতে পুলিশের হাতে ‘আক্রান্ত’ এক বিজেপি কর্মীর বাড়িতে এসে পুলিশ প্রশাসনকে কার্যত খোলা চ্যালেঞ্জ জানালেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক। উল্লেখ্য, কোচবিহার জেলার দিনহাটার বুড়িরহাটে গণ্ডগোলের ঘটনায় অভিযুক্ত বিজেপি কর্মী পঙ্কজ বুচ্চার বাড়িতে রবিবার গভীর রাতে তাণ্ডব চালায় পুলিশ। এরপর সোমবার রাতে কোচবিহার শহরের বাদুড়বাগান এলাকায় বিজেপি কর্মীর ওই ফ্ল্যাটে দলীয় কর্মীর সঙ্গে দেখা করতে যান কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী। সেখানে তিনি জানান, ‘তল্লাশির নামে ওই ফ্ল্যাটবাড়িতে রাতের অন্ধকারে যা করা হয়েছে তা ঠিক হয়নি। তল্লাশির নামে গুন্ডামি চালিয়েছে পুলিশ‘, এমনটাই অভিযোগ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র দফতরের প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের। এদিন তিনি এর পাশাপাশি আরও জানান, ‘মঙ্গলবার আমার আরও অনেক কর্মসূচি রয়েছে। সেখানেও যদি আমাকে বাধা দেওয়া হয় তাহলে বাধা দিলে যা হয় তাই হবে। বাধাকে উপেক্ষা করে কি করে এগোতে হয় তা আমার জানা আছে। যে কোনও রকমের বাধা উপেক্ষা করে এগোতে জানি আমি।’
তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় মদতেই যে পুলিশ প্রশাসন স্থানীয় বিজেপি নেতা কর্মীদের হেনস্তা করছে, তাও এদিন জানান নিশীথ। উল্লেখ্য, শনিবার বারবেলায় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল কোচবিহারের দিনহাটা। নিশীথ প্রামাণিক সেখানে শনিবার মিছিল করেন। সেই মিছিল ঘিরে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়। কোচবিহারের দিনহাটার অন্তর্গত বুড়িরহাট এলাকায় মন্ত্রীর জনসংযোগ কর্মসূচি ছিল। সেখানেই চলে গুলি, বোমাবাজি। রণক্ষেত্রের চেহারা নিয় কোচবিহার। তারপর থেকেই রাজনৈতিকভাবে রীতিমতো উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গোটা জেলা। এরপরই নিশীথের অভিযোগ, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাঁর প্রাণনাশ করতে চায়। এই প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘প্রাণে মারতে চাইলে স্থান-কাল জানাক তৃণমূল, সেখানে গিয়ে হাজির হব। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা ভেঙে সাধারণ মানুষের শান্তি বিঘ্নিত করার অধিকার নেই। অনেক চেষ্টা করেও তৃণমূল উত্তরবঙ্গে প্রত্যাখ্যাত হয়েছে। সেই কারণেই এভাবে উত্তরের মানুষদের ওপর প্রতিশোধ নিচ্ছে তৃণমূল।’ এর পাশাপাশি কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী উসকে দেন রাজবংশী ‘আবেগ’ও। এই প্রসঙ্গে তিনি প্রশ্ন তোলেন, ‘একজন রাজবংশী ছেলে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হয়েছে বলেই কি প্রতিশোধের আগুন? নাকি তৃণমূলের নিজেদের নেতাদের উপর বিশ্বাস নেই?’
