নয় বনাম এগারোর মিনি ডার্বি ম্যাচ ড্র

কলকাতা মিনি ডার্বি। এই ধরনের ম্যাচে রেফারি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়ে থাকেন। ইস্টবেঙ্গল বনাম মহমেডান ম্যাচেও এমন প্রত্যাশাই ছিল। ইন্ডিয়ান সুপার লিগের মঞ্চে প্রথম বার মুখোমুখি দু-দল। সমর্থকরা প্রবল উৎসাহ নিয়ে মাঠে উপস্থিত ছিলেন। এক দিকে, ইস্টবেঙ্গল। ইন্ডিয়ান সুপার লিগে এ মরসুমে টানা ছয় ম্যাচ হেরে অস্বস্তিতে ছিল। কিন্তু এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগের কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করে আত্মবিশ্বাসের তুঙ্গে। অন্য দিকে, মহমেডান স্পোর্টিংও চাইছিল ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে ম্যাচ দিয়েই ঘুরে দাঁড়াতে। কিন্তু রেফারির সিদ্ধান্ত শুরুতেই ম্যাচের আনন্দ নষ্ট করে দেয়। তবে ইস্টবেঙ্গলের কাছে নৈতিক জয়, এ বারের আইএসএলের প্রথম পয়েন্ট ঘরে তুলল তারা।

ম্যাচের শুরুর দিকে হলুদ কার্ড দেখেন ইস্টবেঙ্গলের উইঙ্গার নাওরেম মহেশ। রেফারি সঠিক সিদ্ধান্তই নিয়েছিলেন। অস্বস্তি শুরু হয় ম্যাচের ২৮ মিনিটে। বল কাড়াকাড়িতে টার্ন নেওয়ার সময় মহমেডানের ফুটবলার অমরজিতের মুখে হাত চালান নন্দকুমার। হলুদ কার্ডে ওয়ার্নিং নয়, সরাসরি লাল-কার্ড দেখান রেফারি হরিশ কুন্ডু। সতীর্থকে কার্ড দেখানোয় মেজাজ হারান ইস্টবেঙ্গল ফুটবলাররাও। মহেশ আগেই হলুদ কার্ড দেখেছিলেন। রেফারির সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে আরও একটা হলুদ তথা রেড কার্ড। ২৯ মিনিটেই ইস্টবেঙ্গল ৯ জনের হয়ে দাঁড়ায়। এরপর আর ডার্বির মেজাজ থাকে!

তার আগে মাদিহ তালালের ফ্রি-কিকে অল্পের জন্য গোলে ঢোকেনি। দুর্দান্ত সেভ করেন মহমেডানের গোলকিপার ভাস্কর রায়। দ্বিতীয়ার্ধে প্রভসুখন গিলও দুর্দান্ত একটা সেভ করেন। ম্যাচ থেকে দু-দলের প্রাপ্তি এক পয়েন্ট করে। ৯ জনে খেলেও গোল না খাওয়া ইস্টবেঙ্গলের জন্য বড় প্রাপ্তি। তেমনই ৯ জনের ইস্টবেঙ্গলকে পেয়েও হারাতে না পারা মহমেডানের জন্য নেতিবাচক। সমর্থকদের আনন্দটা যেন লাল-কার্ড দুটোতেই শেষ হয়ে গিয়েছিল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

12 − 5 =