নিজস্ব প্রতিবেদন, বাঁকুড়া: রাত হলেই বাড়ির গোয়ালে অজানা হিংস্র জন্তুর আক্রমণের অভিযোগে বৃহস্পতিবার রাতেও নজরদারি চালানো হয় খাতড়ার মেঝারিগোড়া গ্রামে। পাশাপাশি ক্ষতি হওয়া গৃহপালিত পশুর ক্ষতিপূরণ আবেদনের ভিত্তিতে পরিবারগুলোকে দেওয়া হবে বলে জানান বন বিভাগের খাতড়া রেঞ্জের আধিকারিক সীতারাম দাস৷ আতঙ্কের কোনও কারণ নেই বলে তিনি বাসিন্দাদের আশ্বস্ত করেছেন।
প্রসঙ্গত, রাতে গোয়ালে ঢুকে ছাগল, মুরগি ও টিয়া পাখি নিয়ে পালায় কোনও এক অজানা হিংস্র জন্তু। বাসিন্দারা জানান, গ্রামের বেশ কয়েকটি বাড়ির গোয়ালে ঢুকে ছাগল, মুরগি ও টিয়া পাখির ওপর আক্রমণ চালায় হায়না জাতীয় জন্তুর দল। বাড়ির পেছনের দিকে খামারে ওই জন্তুর দলের পায়ের ছাপ স্পষ্ট রয়েছে। তারিণী পালের অভিযোগ, পর পর দুই রাতে তার গোয়ালে ঢুকে চারটি ছাগল ও মুরগির ওপরে আক্রমণ চালায় ওই জন্তুর দল। একটি ছাগলকে নিয়ে পালিয়ে যায় জন্তুরা ও বাকি তিনটিকে আহত করে ফেলে দিয়ে যায়। পরে ওই তিনটি ছাগলের মৃত্যু হয়। প্রায় ২৭ বছর ধরে বাড়িতে থাকা এক টিয়া পাখিও নিয়ে পালিয়েছে ওই জন্তুরা বলে তাঁর অভিযোগ। গ্রামের বাসিন্দারা আরও জানান, এরকম জন্তুর পায়ের ছাপ আগে কোনও দিন দেখা যায়নি। পাঁচিল টপকে বাড়ির ভেতরে ঢুকে মুরগি নিয়ে পালিয়েছে ওই জন্তুর দল। বন বিভাগের খাতড়া রেঞ্জের কর্মীরা গ্রামে এসে পায়ের ছাপ সংগ্রহ করেন। বুধবার রাতে খাতড়া রেঞ্জের কর্মীরা এসে বাড়ির খামারে ট্র্যাপ ক্যামেরা বসিয়ে রাখেন ও নজরদারি চালান গভীর রাত ধরে।