কলকাতার খিদিরপুর থেকে যে দুই হাওড়ার বাসিন্দাকে আইএস জঙ্গি সন্দেহে গ্রেপ্তার করেছিল কলকাতা পুলিশের এসটিএফ, এবার সেই মামলার তদন্তভার নিতে চলেছে কেন্দ্রীয় সংস্থা এনআইএ। এই মামলায় মঙ্গলবার আদালতে তদন্তের আবেদন জানানো হয় এনআইএ-এর তরফ থেকে। এদিনই কেন্দ্রীয় সংস্থার তরফ থেকে এফআইআর করে একটি মামলাও রুজু করা হয়। এনআইএ-এর এই আবেদন মঞ্জুর করে আদালত। সূত্রে খবর, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নির্দেশে এই তদন্তভার গ্রহণ করছে এনআইএ। ইতিমধ্যে একাধিকবার এসটিএফের দপ্তরে গিয়ে তিনজনকে জেরা করেছে এনআইএ। এবার তাঁদের নিজেদের হেপাজতে নিতে চলেছে এনআইএ।
প্রসঙ্গত, গত জানুয়ারি মাসেই হাওড়া থেকে আইএস জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত সন্দেহে মহম্মদ সাদ্দাম নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপরই গ্রেপ্তার হন সইদ আহমেদ। এরপর তাদের ব্যবহার করা টেলিগ্রাম চ্যানেলের মেসেজ থেকে একের পর এক তথ্য সামনে আসে কলকাতা পুলিশের এসটিএফের হাতে। এই সূত্র ধরেই আব্দুল রকিব কুরেশিকে গ্রেপ্তার করা হয় মধ্য প্রদেশ থেকে। তাঁরা দিল্লি ও রাজধানী সংলগ্ন এলাকায় দুই ব্যক্তির ওপর হামলার ছক কষেছিলেন বলেও জানতে পারেন গোয়েন্দারা।
শুধু তাই নয়, দীর্ঘদিন ধরেই যে তাদের জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল, তেমন প্রমাণও এসেছে কলকাতা পুলিশের হাতে। সঙ্গে এও জানা যায়, ধৃত মহম্মদ সৈয়দ নাকি হাওড়া পুরসভায় ঠিকাদার হিসাবে কাজ করতেন, নেহা কনস্ট্রাকশন নামে একটি সংস্থাও খুলেছিলেন তিনি। এই তথ্য আদালতেই দেন সৌয়দের আইনজীবী। অর্থাৎ তাঁদের কর্মকাণ্ডের জাল যে অনেক দূর বিস্তৃত তা এর থেকেই স্পষ্ট। এরপই তদন্ত চলাকালীনই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক নির্দেশ আসে তদন্তভার গ্রহণ করার।