মোমিনপুরের ঘটনায় চার্জশিট জমা করল এনআইএ। শনিবার বিশেষ এনআইএ আদালতে এই চার্জশিট জমা পড়ে। ১৬ জনের নামে চার্জশিট জমা পড়ে এদিন। আদালত সূত্রে খবর, ৪০০ পাতার চার্জশিটে ৭০ জন সাক্ষীর উল্লেখ রয়েছে। এদিন তদন্তকারী সংস্থার তরফে বিশেষ এনআইএ আদালতের কাছে তদন্ত চালিয়ে যাওয়ার আবেদন জানানো হলে বিচারক তা মঞ্জুর করেন। সূত্রে খবর, হিংসা ছড়ানো, পুলিশের কাজে বাধাদান, খুনের চেষ্টা, অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র, অস্ত্র ও বিস্ফোরক আইনের মতো ধারার উল্লেখ রয়েছে এই চার্জশিটে। সম্প্রতি এই মামলার সূত্র ধরেই মোমিনপুরের ১৭টি জায়গায় তল্লাশি চালায় এনআইএ। প্রায় ৩২ লক্ষ টাকা উদ্ধার করা হয়। বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথিও উদ্ধার হয় অভিযানে।
এদিকে এদিন আদালতে এনআইএর আইনজীবী দেবাশিস মল্লিক চৌধুরী জানান, শনিবার যাঁদের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে ৬ জন পলাতক।৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং তাঁরা বিচারবিভাগীয় হেফাজতে রয়েছেন।বাকি ২ জনের বিরুদ্ধে এখনও তদন্ত চলছে।অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির এবং বিস্ফোরক আইনের বিভিন্ন ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। একইসঙ্গে এনআইএ-এর আইনজীবী এও জানান, মোমিনপুরে অশান্তির ঘটনার কলকাতা পুলিশ যে ২০ জনকে গ্রেপ্তার করেছিল তাঁদের কারও নাম এনআইএ চার্জশিটে নেই। প্রসঙ্গত, ওই ঘটনায় পৃথক তদন্ত চালাচ্ছে কলকাতা পুলিশও!
এখানে বলে রাখা শ্রেয়, ২০২২ সালের অক্টোবরের গোড়ায় মোমিনপুরে ওই অশান্তির ঘটনার পরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নির্দেশে তদন্তে নেমেছিল এনআইএ। এরপর গত ২৮ অক্টোবরে দায়িত্বভার নেওয়ার পরপরই মোমিনপুরে যায় এনআইএ। এরপর লালবাজারেও যান এনআইএ-এর আধিকারিকেরা। ঘুরে দেখেন মোমিনপুর এলাকা। এরপর জানুয়ারির শুরুতেই চার্জশিট পেশ করেন তারা। অন্যদিকে মোমিনপুরের ঘটনায় সিট গঠন করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। তদন্ত করছে তারাও।এই ঘটনায় তিনটি এফআইআর দায়ের হয়। যার দু’টির তদন্ত করছে কলকাতা পুলিশ। একটির তদন্তভার নেয় এনআইএ।