আসামের গৌহাটিতে নারী পাচারের ঘটনার তদন্ত করতে গিয়ে যোগ মিলল উত্তর ২৪ পরগনার বারাসাত, হাবড়া ও ঠাকুরনগরের। একযোগে বারাসাতের তিনটি জায়গা সহ ঠাকুরনগরে হানা দিল কেন্দ্রের তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ’র আধিকারিকেরা। তদন্তে মিলেছে বেশকিছু নথি। আটক একাধিক। সূত্রের খবর, ট্রাভেল ব্যবসার আড়ালে চলত নারী পাচার নিষিদ্ধ জঙ্গিগোষ্ঠী কার্যকলাপ।
পাসপোর্টের সূত্র ধরে এদিন ঠাকুরনগর আনন্দপাড়া এলাকাতেও হানা দেয় এনআইএ’র একটি বিশেষ টিম। একজনকে আটক করা হয়। ধৃতের নাম বিকাশ সরকার। জানা গিয়েছে, বাংলাদেশ থেকে এসে প্রথমে মধ্যমগ্রামে একটি মোবাইলের দোকান দিয়ে রিপেয়ারিং এর কাজ করত। পরিচিত একজনের মারফত বনগাঁর ঠাকুরনগরে ভাড়া বাড়িতে থাকতেন। তার স্ত্রী জানিয়েছেন মাস ৪-৫ মাস আগে তিনি চিকিৎসা করতে ভারতে এসেছেন।
সূত্রের খবর, সীমান্ত পার করে পাচার চক্রের কাজ চালাত একটি বড় চক্র। এই চক্রের মারফত নিষিদ্ধ জঙ্গিগোষ্ঠীদেরকে সীমান্ত পার করে নিয়ে আসা হত ভারতে, এমনটাই সন্দেহ। মূলত গৌহাটিতে একটি নারীপাচার চক্রের সন্ধান মেলে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেই এই তথ্য উঠে আসে এনআইএর হাতে। বিশেষ করে বাংলাদেশ থেকে চোরাই পথে ঢুকত ভারতে। সেই চক্রের মাধ্যমেই ছড়িয়ে পড়ত ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে। বারাসাতের তিন জায়গায় নবপল্লী, নপাড়া, চাঁপাডালি রোডের কাছে এছাড়াও হাবড়া এবং ঠাকুরনগর আনন্দপাড়া এলাকায় হানা দেয় এনআইএ। চাঁপাডালি মোড়ের মা ট্যুর অ্যান্ড ট্রাভেল মালিক সঞ্জীব দেব নামে ওই ব্যক্তিকে নিয়ে যায় পুলিশ। সঙ্গে এনআইএ আধিকারিকরা বেশকিছু নথিও নিয়ে যায়। ব্যবসায়ীর স্ত্রী জানান, তাদের বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া ১৫ লক্ষ টাকাও আধিকারিকেরা নিয়ে গেছে। এর পাশাপাশি হাবড়া থানার হীরাপোল এলাকায় কিংকর দাস নামে এক যুবকের বাড়িতে হানা দেয় ন্যাশনাল ইনভেস্টিকেশন এজেন্সি এনআইএ।
যদিও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কিংকর দাস উত্তরপ্রদেশের বৃন্দাবনে বাবা মায়ের কাছে ঘুরতে গিয়েছে। বাড়িটি তালা বন্ধ অবস্থায় থাকায় যুবকের মামাকে ডেকে তালা খুলে ঘরের মধ্যে তল্লাশি চালায় এনআইএ টিম। সঙ্গে ছিল সিআরপিএফ এবং হাবড়া থানার পুলিশ প্রশাসন। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কিংকর দাস স্থানীয় একটি গেঞ্জির কারখানায় কাজ করতেন। তবে এই ঘটনায় রীতিমতো স্থানীয়রা অবাক।