চলতি বছরের শুরুর দিকে শেষদিকে ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড ছেড়ে সৌদি আরবে গিয়েছিলেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো । ইউরোপ ছেড়ে অখ্যাত সৌদি প্রো লিগে যোগ দেওয়ায় পর্তুগিজ মহাতারকাকে ‘পাগল’ বলতেও ছাড়েনি ফুটবল বিশ্ব। রোনাল্ডোর সেই সিদ্ধান্ত সৌদি আরবের ফুটবলের জন্য আশীর্বাদ প্রমাণিত হয়েছে। রোনাল্ডোর পথ অনুসরণ করে একঝাঁক নামী ফুটবলার সৌদির লিগে নাম লিখিয়েছেন। করিম বেঞ্জেমা, এনগালো কন্তে, সাদিও মানের পর ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড নেইমার দ্য সিলভা স্যান্টোস জুনিয়র। সদ্য রোনাল্ডোর প্রতিদ্বন্দ্বী ক্লাব আল হিলালে সই করেছেন নেইমার। তারপরই নেইমারের মুখে শোনা গেল রোনাল্ডোর ভূয়সী প্রশংসা। সৌদির ফুটবলের উন্নতিতে সিআর৭-এর অবদানের কথা তুলে ধরলেন ‘চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী’ নেইমার। প্রতিদ্বন্দ্বীই বটে। কারণ এখনও পর্যন্ত ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোকে সতীর্থ হিসেবে পাননি নেইমার। লা লিগায় খেলতেন দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ক্লাবে। নেইমার বার্সেলোনায় এবং রোনাল্ডো রিয়াল মাদ্রিদে। এদিকে লিওনেল মেসির সঙ্গে নেইমারের গলায় গলায় বন্ধুত্ব। বন্ধুর ‘শত্রু’ তো প্রতিদ্বন্দ্বী হওয়ারই কথা। সৌদি প্রো লিগেও দু’জনে খেলবেন প্রতিদ্বন্দ্বী ক্লাবে। তাতে অবশ্য রোনাল্ডোকে প্রশংসা করতে পিছপা হলেন না। আল হিলালের মতো ক্লাবে যোগ দেওয়া প্রসঙ্গে রোনাল্ডোকে টেনেছেন নেইমার। সৌদির ক্লাবটিতে পা দেওয়ার পিছনে রোনাল্ডোর অবদান দেখছেন তিনি। নেইমার বলেছেন, “আমার মতে এখানে যা যা হচ্ছে সবই রোনাল্ডোর জন্য। সবাই ওকে ‘পাগল’ বলত। আরও অনেক কিছু বলত। কিন্তু এই লিগটা ওর জন্যই বড় হচ্ছে।” আল হিলাল এশিয়ার সবচেয়ে সফল ক্লাব। ক্লাবটির হয়ে নতুন ইতিহাস গড়ার অপেক্ষায় রয়েছেন বলে জানিয়েছেন নেইমার। বছরের ১০০ কোটি ইউরোর বিনিময়ে সৌদির ক্লাবে নাম লিখিয়েছেন নেইমার। একইসঙ্গে ২৫ বেডরুমের ম্যানসন, গাড়ি, প্রাইভেট জেট সবই পাবেন। সৌদিতে রাজার হালে থাকবেন ব্রাজিলিয়ান তারকা।