দীপিকা সরকার, দুর্গাপুর: দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতাল থেকে মঙ্গলবার একটি সদ্যোজাত শিশু চুরির অভিযোগ ওঠে। বুধবার সকালে এই খবর চাউর হতেই ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগ সহ গোটা হাসপাতাল চত্বরে। প্রশ্ন উঠেছে হাসপাতালের নিরাপত্তা নিয়ে। ঘটনায় ব্যাপক আতঙ্কে রয়েছেন প্রসূতি বিভাগের অন্যান্য গর্ভবতী মহিলা সহ তাদের পরিজনেরা। ঘটনাস্থলে আসে নিউ টাউনশিপ থানার পুলিশ। ঘটনাসূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার সকালে পাণ্ডবেশ্বরের গোসাঁইডাঙার বাসিন্দা ভাদু সিং নামে এক প্রসূতিকে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তাঁকে প্রসূতি বিভাগের চার নম্বর বেডে ভর্তি করা হয়। এদিন রাতেই তিনি একটি পুত্রসন্তানের জন্ম দেন। অভিযোগ মঙ্গলবার দুপুরে তিনি খবার খেয়ে সন্তানকে বিছানায় রেখে বাথরুমে গিয়েছিলেন এসে দেখেন তাঁর সদ্যোজাত সন্তান উধাও। ভাদু দেবীর জানান, ‘আমি যেদিন হাসাপাতালে আসি সেদিন এক মহিলা হুইল চেয়ারে বসিয়ে আমাকে হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগে নিয়ে যেতে সাহায্য করতে আসেন। আমার অনুমান, আগ বাড়িয়ে সাহায্য করতে আসা ওই মহিলাই আমার সন্তানকে চুরি করেছে।’
এই ভাবে দিনে দুপুরে হাসপাতাল থেকে শিশু চুরির ঘটনার জন্য হাসপাতালের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে দায়ী করছেন অন্যান্য রোগীর পরিজনেরা।
দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালের সুপার ডক্টর ধীমান মণ্ডল যদিও এই ঘটনার জন্য ওই রোগীর পরিবারকেই দায়ী করেছেন। তিনি জানান, নিউ টাউনশিপ থানার পুলিশ এসে হাসপাতালের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে নিয়ে গিয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য,২০১৭ সালের ডিসেম্বরে স্টিল টাউনশিপ তিলক রোডের বাসিন্দা পাপিয়া বিবি নামের এক মহিলা প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। ™রের দিন পাপিয়া বিবি এক পুত্র সন্তানের জন্ম দেন। এরপর কোনও নার্স শিশুটিকে পোলিও খাওয়ানোর নাম করে নিয়ে যায়, তারপর পাপিয়া বিবি নিজের সন্তানকে ফেরত পাননি। শিশুটি চুরি হয়ে যাওয়ার অভিযোগ ওঠে।