টানা চার ম্যাচে জিতল নিউজিল্যান্ড

আফগানিস্তানের পারফরম্যান্সকে যেন এটাই বলা যায় ‘ওয়ান ম্যাচ ওয়ান্ডার’। গত ম্যাচে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডকে হারিয়েছিল আফগানিস্তান। স্বাভাবিক ভাবেই প্রত্যাশাও বেড়েছিল তাদের নিয়ে। চেন্নাইতে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে তারা দুর্দান্ত পারফর্ম করবে, অনেকেই ভাবছিলেন। আফগান শিবিরও বারবার বলে এসেছে, তারা এক ম্যাচ জিতেই তৃপ্ত হতে নারাজ। কিন্তু পারফরম্যান্সে তা ধরা পড়ল না। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে আধডজন ক্যাচ মিস। ব্যাটিংয়েও হতাশাজনক পারফরম্যান্স। ১৪৯ রানের বিশাল ব্যবধানে জিতল নিউজিল্যান্ড। এ বারের বিশ্বকাপে জয়ের ধারা অব্যহত রইল কিউয়িদের। ক্যাচ মিস, ম্যাচ মিস। এটা কোনও নতুন কথা নয়। অন্তত সেরা টিমের বিরুদ্ধে আধডজন ক্যাচ ফসকে জয়ের স্বপ্ন না দেখাই ভালো। আফগানিস্তানের ক্ষেত্রে তাই হল। টস জিতে রান তাড়ার সিদ্ধান্ত নেয় আফগানিস্তান। অথচ ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথমে ব্যাট করে জিতেছিল তারা। হঠাৎ কেন সিদ্ধান্ত বদল! চেন্নাইতে পরের দিকে শিশির ভূমিকা নিতে পারে, এই প্রত্যাশাই করেছিল আফগানিস্তান। এর জন্য প্রতিপক্ষকে কম রানে আটকে রাখতে হত। সেই সুযোগও ছিল। ১১০ রানে ৪ উইকেট নিয়ে নিউজিল্যান্ডকে চাপে ফেলেছিল আফগানিস্তান। পঞ্চম উইকেটে টম ল্যাথাম এবং গ্লেন ফিলিপ্স ১৪৪ রান যোগ করে। এটাই ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট। শেষ অবধি নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৬ উইকেটে ২৮৮ রান করে নিউজিল্যান্ড। আফগানিস্তান যতই গত ম্যাচে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের হারিয়ে আসুক, এই রান তাড়ার জন্য অবিশ্বাস্য পারফরম্যান্স প্রয়োজন ছিল। ডট বলের চাপ সামলাতে ব্যর্থ আফগানিস্তান। নিউজিল্যান্ডের বোলিং-ফিল্ডিংও অনবদ্য। আফগান ইনিংসে সর্বাধিক রান রহমত শাহর ৩৬। আফগানিস্তান ৯৭-৩ থেকে ১৩৯ রানেই অলআউট। মিচেল স্যান্টনার অনবদ্য একটা ক্যাচ নেন। তাঁর উইকেটে তিন উইকেটও। এছাড়াও তিন উইকেট নেন লকি ফার্গুসন। ১৪৯ রানের বিশাল জয়ে পয়েন্ট টেবলে শীর্ষে উঠে এল নিউজিল্যান্ড।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

18 − 17 =